সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
দলের অন্দরমহলেও কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, হবিবপুরের সাফল্য-ব্যর্থতা অনেক কিছুর জবাব দিয়ে যাবে। যেকারণে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব হবিবপুরে মাটি কামড়ে পড়ে থাকছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিরোধীরা পাল্টা হবিবপুর নিয়ে জোর বাড়াচ্ছে।
দলের জেলা প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এটা বলতে অসুবিধা নেই যে হবিবপুরের নির্বাচন আমাদের কাছে নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আদিবাসী রাজবংশী বলয়ে নিজেদের প্রভাবকে আমাদের খাতায় কলমে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। আবার মালদহের জনবসতি বিন্যাসের প্রেক্ষাপটেও হবিবপুর নির্বাচন আমাদের কাছে একটি বিশেষ পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে বর্তমানের থেকে বেশি অনেক রাস্তা খুলে যাবে। তবে হবিবপুর বরাবরই আমাদের দক্ষ সাংগঠনিক ভিত্তির জায়গা। এখানে ফলাফল নিয়ে আমরা অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী।
দলের অন্দর মহলে একাংশের আলোচনা, মালদহের সামাজিক বিন্যাসে হবিবপুর-বামনগোলা একেবারের ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করে। দল দীর্ঘদিন ধরে এই বলয়ে নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। এদিক থেকে হবিবপুরে সাফল্য বেশি করে প্রয়োজন। নইলে বাংলার রাজনীতিতে হবিবপুর বিরোধীদের কাছে একটি বড় অস্ত্র হয়ে যাবে। বিজেপির নীতিগত বুনিয়াদকে মজবুত দেখানোর জন্যই হবিবপুরে সাফল্য প্রয়োজন।
যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, মালদহের জনবিন্যাসের প্রেক্ষাপটে বিজেপি হবিবপুরে সাফল্য পেলে তা রাজ্যব্যাপী একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। বিষয়টি আমরা বুঝি। জনবিন্যাসের বিভাজনের রাজনীতিকে তাই আমরা রুখে দিতে চাই। হবিবপুরের উপনির্বাচন আমাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।
মালদহের জনঘনত্বের বিন্যাসে গোটা জেলা থেকে পৃথক মাত্র চারটি ব্লক। সেগুলি হল গাজোল, হবিবপুর, বামনগোলা ও পুরাতন মালদহ। এরমধ্যে হবিবপুরের বড় অংশ ও বামনগোলা নিয়ে হবিবপুর বিধানসভা গঠিত হয়েছে। আদিবাসী ও রাজবংশী অধ্যুষিত এই বলয়ে দলীয় নীতির কারণেই বহু বছর ধরে বনবাসী সংগঠনের আড়ালে বিজেপির সহযোগী সংগঠনগুলি এখানে কাজ করে যাচ্ছে। মূলত তাদের তৈরি করা ভিতের উপরে দাঁড়িয়েই এলাকার দু’টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই বিজেপি এসেছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে আগেও এই এলাকায় বিজেপি বিপুলভাবে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছিল। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, নানা কারণে লোকসভা ভোটে শেষপর্যন্ত সেই অভাবিত দাপটের সবটা বিজেপি দেখাতে পারেনি। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনে পরিস্থিতি ভিন্ন। কেননা এই বিশেষ বলয়ের ভোটারদের উপরেই এখানকার জেতা-হারা নির্ভর করবে। আর এটা তাই বিজেপির জন্য অগ্নিপরীক্ষা। আদিবাসী-রাজবংশী ভোটকে যদি তারা সংগঠিতভাবে ইভিএম পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে তবে উত্তরের রাজনীতিতেই শুধু নয়, বাংলার রাজনীতিতে তা একটি বিশেষ ঘটনা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।