সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
মৃতের বাবা বিধান রায় বলেন, সোমবার ছেলের ডান হাত ভেঙে যায়। আমরা যে চিকিৎসককে দেখাই তিনি বলেন ছেলের হাতে প্লেট বসাতে হবে। তার জন্য অস্ত্রোপচার করা দরকার। আমরা সেই মতো ছেলেকে নার্সিংহোমে ভরতি করি। মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে যখন অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয় তখনও ওই চিকিৎসক আসেননি। সেই সময়ে ছেলেকে অজ্ঞান করা হয় বলে অনুমান। দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসক আমাদের ডেকে বলেন আপনার ছেলের কি মৃগী আছে? এরপর তাকে আইসিউতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গভীর রাতে আমাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। হাত ভাঙার জন্য অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়? আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ এখানে থাকবে এটাই আমাদের দাবি ছিল। পরে একজন ম্যাজেস্ট্রেট নার্সিংহোমে এসেছিলেন। তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিস মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নার্সিংহোমের অন্যতম কর্ণধার পূর্ণেন্দু দে বলেন, হাত ভেঙে এক রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের আগে অজ্ঞান করার সময়েই রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে অস্ত্রোপচার হয়নি। আমরাও এই ঘটনায় মর্মাহত। এই পরিস্থিতিতে মৃতের পরিবারের উত্তেজিত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হোক। চিকিৎসকের ভুল ছিল কি না তা তদন্ত সাপেক্ষ। এর বাইরে এখনই কিছু বলছি না। একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নার্সিংহোমে এসে মৃতদেহ দেখে গিয়েছেন।
এদিন সকাল থেকেই নার্সিংহোম চত্বরে রোগীর পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মৃতের বাবা বিধানবাবু ও মা রেখা রায় সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে, উত্তেজনা সামাল দিতে হাসপাতাল চত্বরে পুলিস মোতায়েন করা হয়। দুপুরে আবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালে নার্সিংহোমের কিছু চেয়ার তছনছ করা হয় বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের দাবি, রাত ৯টা নাগাদ রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয়। এরপর রাত ১টা নাগাদ জানানো হয় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এদিন বিকালে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়।