সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
কানকি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফরওয়ার্ড ব্লকের আকবর হুসেন বলেন, এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবী। গ্রামে বিশাল পরিমাণ জমিতে সব্জি চাষ হয়। কিন্তু ওসব বিক্রির জন্য পরিকল্পিত কোনও বাজার নেই। ছোট জায়গায় সব্জি মান্ডি বসছে। সেখানে দূরদূরান্ত থেকেও চাষিরা আসছেন। জায়গা না পেয়ে অনেকে সময়ে তাঁরা জাতীয় সড়কের ওপরে সব্জি বিক্রি করেন। আমরা এনিয়ে কোনও পরিকল্পনা নিতে পারছি না। কারণ যেখানে এখন বাজার বসে সেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকজন ব্যবসায়ী করেছিলেন।
চাকুলিয়ার বিডিও সুপ্রেম দাস বলেন, কিষাণ মান্ডি করার জন্য প্রায় পাঁচএকর জমির প্রয়োজন হয়। কানকিতে পর্যাপ্ত জমি মিলছে না। জমি থাকলে কিষাণ মান্ডি তৈরি করা যেত।
কানকি ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রাজকুমার জৈন বলেন, ওই সব্জি বাজারে কয়েকশো কৃষক এসে তাঁদের উৎপাদিত সব্জি বিক্রি করেন। প্রায়দিনই একারণে সকালের দিকে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। সব্জি মান্ডি অন্যত্র স্থনান্তর করার ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু তা নানা কারণে হয়নি। আবারও এব্যাপারে প্রশাসনের কাছে যাওয়া হবে।
কৃষি প্রধান চাকুলিয়ার বিভিন্ন এলাকাতে প্রচুর সব্জি চাষ হয়। মরশুমি সব্জি এখানকার জমিতে কৃষকরা ফলান। উৎপাদিত সব্জি বিক্রির পাইকারি বাজার কানকি বাসস্টপ সংলগ্ন এলকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘেঁষে থাকা একটি জমিতে হয়েছে। সেটি সব্জি মন্ডি নামে পরিচিত। প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটতেই চাষিরা সব্জি মান্ডিতে আনাজপাতি এনে পাইকারি দরে বিক্রি করেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিহার থেকেও বহু সব্জি পাইকার এখানে এসে সেসব কিনে নিয়ে যান। কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় কোনও কোনও দিন জাতীয় সড়কের ওপরেই কেনাবেচা শুরু হয়। এমন অবস্থায় জাতীয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল থমকে যায়। কোনও গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারালে যেকোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অন্যদিকে মান্ডিতে কোনও ছাদ নেই। রোদ, ঝড়বৃষ্টি মাথা নিয়েই কেনাবেচা করতে হয়। অবিক্রিত সব্জি মজুত রাখারও কোনও ব্যবস্থা এখানে নেই। চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত সব্জি বিক্রির পাইকারি বাজার তৈরির দাবি করে আসছেন।