কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
একদিন না একদিন এমনটা যে ঘটতে চলেছে, গত মার্চেই তা পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ৬০ দিনের নোটিসও দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে ৩ মে। এদিকে, ভারতে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ফেরার পর আমেরিকা সিদ্ধান্ত বদলাবে বলেই মনে করেছিল কূটনৈতিক মহল। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। যদিও, শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। মার্কিন প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, ভারতের তরফে আমেরিকার জন্য এইধরনের কোনও নীতি না থাকায় প্রেসিডেন্ট অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে, এখনই কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন বহু সাংসদ। কিন্তু, লাভ হয়নি। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ভারত যে তাদের বাজারে মার্কিন পণ্যের ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত প্রবেশ ঘটানোর ব্যাপারে সম্মতি দেবে না, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত। আর তাই ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা আগামী ৫ জুন থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পথে হাঁটতে হচ্ছে আমাকে।’
আমেরিকার সবচেয়ে পুরনো এবং বৃহত্তম বাণিজ্য প্রকল্প হল জিএসপি। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হল, উন্নয়নশীল দেশগুলির আর্থিক উন্নয়নে সাহায্য করা। এই প্রকল্পের অধীনস্ত সুবিধাভোগী দেশগুলি আমেরিকায় পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক ছাড় (ডিউটি ফ্রি) পেয়ে থাকে। এতদিন ভারতও গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং টেক্সটাইল পণ্যেপ মতো জিনিসপত্র শুল্ক ছাড়াই আমেরিকায় পাঠাত। আমেরিকার কাছ থেকে এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ সুবিধা ভারতই পেত। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু ২০১৭ সালেই ৫৭০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের শুল্কহীন পণ্য আমেরিকায় রপ্তানি করেছে ভারত।
এদিকে, আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শনিবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নয়াদিল্লি। বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেই, বিশেষ করে অর্থনৈতিক চুক্তিগুলির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা বরাবরই থাকে। তবে, সেই সব সমস্যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিটেও যায়। যদিও, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত সবার আগে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে। ভারতের জনগণও উন্নত জীবনযাত্রায় বাঁচতে চায়। সে দিকটা অবশ্যই আমাদের দেখতে হবে। নয়াদিল্লির দাবি, যৌথ বাণিজ্যের শর্ত হিসেবে ভারতের তরফে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব আমেরিকাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেগুলির একটিও ট্রাম্প প্রশাসনের গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।