কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকার মধ্যে যাবতীয় দ্বন্দ্ব মেটাতে সিঙ্গাপুরের পর এটা ছিল দ্বিতীয় বৈঠক। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে ট্রাম্পের শর্ত মেনে নেননি কিম। ফলে ভেস্তে যায় বৈঠক।
ওই বৈঠকের রূপরেখা তৈরি থেকে শুরু করে কূটনৈতিক স্তরে সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব পড়েছিল উত্তর কোরিয়ার বর্ষীয়ান কূটনীতিক কিম হিয়ক চোলের উপর। তাঁকে হ্যানয় বৈঠকের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন কিম নিজেই। প্রেসিডেন্ট কিমের ব্যক্তিগত ট্রেনেই হ্যানয় পৌঁছেছিলেন চোল। এদিন উত্তর কোরিয়ার প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘দ্য চুসাং ইবো’ সরকারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হ্যানয় বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার কারণ নিয়ে জোর কাঁটাছেঁড়া চালিয়েছিলেন কিমের প্রশাসন। তাতে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র তত্ত্ব উঠে আসে বলে জানা যায়। তারপরেই খোঁজ শুরু হয় কে বা কারা সেই ‘বিশ্বাসঘাতক’। চোলের উপর দায়িত্ব ছিল মার্কিন দূত স্টিফেন বিয়েগানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আলোচনার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অভিযোগ, এই কাজ করতে গিয়ে চোল নাকি মার্কিন কূটনীতিকদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছিলেন। সেই কারণেই প্রেসিডেন্ট কিমের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয় হ্যানয় বৈঠক। চোলের সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের আরও চারজন অফিসারকেও ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিহ্নিত করে উনের প্রশাসন। তার পরেই মার্চ মাসে চোল সহ ওই চার অফিসারকে ‘ফায়ারিং স্কোয়াড’-এর সামনে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বলে খবরে প্রকাশ। তবে এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খোলেনি উত্তর কোরিয়ার সমন্বয়কারী মন্ত্রক।
‘দ্য চুসাং ইবো’ আরও জানিয়েছে, হ্যানয় বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পিছনে শিন হ্যায়ে ইয়ং নামে কিমের ব্যক্তিগত এক মহিলা অনুবাদককেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁর ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া না নেমে এলেও শিন ইয়ংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছে বন্দি শিবিরে। শিন ইয়ংয়ের অপরাধ, দু’জনের কথাবার্তা অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি ভুল করে ফেলেছিলেন। ট্রাম্প যখন ‘কোনও চুক্তি হবে না’ বলে টেবিল ছেড়ে উঠে পড়ছেন তখন বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিম। কিন্তু কিমের সেই প্রস্তাব শিন ইয়ং সঠিকভাবে অনুবাদ করে ট্রাম্পের কাছে উপস্থাপিত করতে পারেননি। শিন ইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ কিম প্রশাসনের।