কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শিক্ষামন্ত্রকের ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে ঠিক কী বলা হয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি নিয়ে? সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘একটি প্রিমিয়ার, বিশেষজ্ঞ, স্বশাসিত এবং স্বনির্ভর পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা হিসেবেই শিক্ষামন্ত্রক এনটিএ তৈরি করেছে। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যই হল, দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি কিংবা ফেলোশিপের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করা।’ সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, ‘২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়েই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’ এনটিএ’র ‘স্বচ্ছতা’ এবং ‘দক্ষতা’র উদাহরণ দিতে গিয়ে ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কার্যকারিতা শুরুর পর থেকে এনটিএ মোট ১২৫টি পরীক্ষার আয়োজন করেছে। শুধুমাত্র ২০২২-২৩ আর্থিক বছরেই এনটিএ ২৬টি পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এর মধ্যে জেইই মেইন, নিট ইউজি, ইউজিসি নেটের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা রয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৭৩ জন ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’ শিক্ষামন্ত্রক তার বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘নিট ইউজি এবং এআইএসএসইই ছাড়া বাকি প্রত্যেক পরীক্ষাই হয়েছে কম্পিউটার ভিত্তিক। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দু’টো পরীক্ষা হয়েছে পেন-অ্যান্ড-পেপার-মোডে।’
বার্ষিক প্রতিবেদনে এনটিএর উদ্দেশে এত প্রশংসাই আপাতত বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের। বৃহস্পতিবার ফের জল্পনা রটে যায়, এনটিএ ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সিইউইটি পরীক্ষার ‘মেটেরিয়ালস’। যদিও একে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে শিক্ষামন্ত্রক এবং ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির জেরে কেন্দ্র বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভ এদিনও অব্যাহত ছিল। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনটিএ চত্বরে ঢুকে তালাবন্দি করে দেয়। তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে।