কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
কিছুদিন আগেই তথ্য জানার অধিকার আইনে করা একটি আবেদনের জবাবে জানা গিয়েছিল, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আইআইটি ক্যাম্পাসগুলিতে ৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর চাকরি হয়নি। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণ্ডি পেরনোর সময়ও যদি মনমতো চাকরি অধরা থেকে যায়, তখন দেশের অর্থনীতি এবং নিয়োগ-নীতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আর সেটাই হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারতে দ্রুততম হারে বেড়ে ওঠা তথ্য-প্রযুক্তি কর্মজগৎও সার্বিকভাবে ঢুকে পড়েছে তালিকায়। প্রধানত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের তাবৎ সংস্থায় প্রবল আর্থিক মন্দাকে কেন্দ্র ঢাল করতে চাইলেও অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা চাপা থাকছে না। কারণ, দেশীয় তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্টার্ট আপ নিয়ে প্রচারের যে ঢেউ বিজেপি তুলেছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের ফল তার বড় প্রমাণ। এর উপর তাৎপর্যপূর্ণ এবং উদ্বেগজনক বার্তাটি হল, দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ সংস্থা তাদের একাধিক কোর্স বন্ধ করে দিচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সংক্রান্ত একটি কোর্সে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করার পরও কিছুদিন আগে তা স্থগিত করে দিয়েছে গুরুগ্রামের প্রথম সারির একটি ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। ডেলয়েট সংস্থার সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে এমবিএ ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থান হবে ঠিকই, কিন্তু বেতন কমে যাবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। সবচেয়ে বড় কথা, এক্ষেত্রে কোভিড বিপর্যয়ের ছায়া দেখা যাচ্ছে। কারণ, চাকরির শুরুতে যে প্যাকেজ অফার করা হচ্ছে, তেমনটা হয়েছিল ২০২১ সালে।
পরিষেবা এবং তথ্য-প্রযুক্তি—এই দুই সেক্টরই ভারতে শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীদের কর্মজগতে প্রবেশের সবথেকে বেশি চালিকাশক্তি হয়ে থেকেছে বিগত বছরগুলিতে। এখনও সেটা বিদ্যমান। কিন্তু এন্ট্রি লেভেল চাকরির সুযোগ ও গ্রহণযোগ্য বেতন যেমন কমছে, তেমনই সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাকরিগুলির ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে কর্ম ও কর্মী সংকোচন। একমাস পর বাজেট পেশ করবে তৃতীয় এনডিএ সরকার। মধ্যবিত্তকে তুষ্ট করতে আয়কর ছাড় দেওয়া হবে জল্পনা এখন তুঙ্গে উঠেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি যে যুবশক্তির সবথেকে বেশি জয়ধ্বনি দেন, তাদের কী হবে? এই শ্রেণিকে আশ্বস্ত করার জন্যও কিন্তু নিশ্চিত কোনও ব্যবস্থা নিতে হবে মোদিকে। চ্যালেঞ্জ সেটাও।