উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
বাণিজ্য নগরের রাজপথে নিত্যদিন ভিড় জমান শয়ে শয়ে মানুষ। কেউ রুজির টানে। কেউ জীবিকার সন্ধানে। কেউ বা নতুন কোনও আশ্রয়ের খোঁজে। ‘স্বপ্নের শহর’ মুম্বইয়ে তাই পুরুষ-নারীর কোনও বিভেদ থাকবে না। এখানে সকলেই সমান। সাম্যের এই সহজ-বার্তা তুলে ধরতে সিগন্যালের অবয়ব নারীকেন্দ্রিক করে তোলার এই অভিনব উদ্যোগ বৃহন্মুম্বই পুর নিগম (বিএমসি)-এর।
শুধু তাই নয়, লকডাউন পর্বে দুনিয়াজুড়ে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা বাড়ছে। উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে লিঙ্গ-সাম্যকে বিশেষ আঙ্গিকে সিগন্যাল ব্যবস্থায় জুড়ে গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিএমসি। রাস্তা পারাপারের নির্দেশ কিংবা সিগন্যালের লাল-হলুদ-সবুজ আলো — সবেতেই পুরুষের বদলে নারীর অবয়ব শোভা পাবে। আপাতত সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের দাদরের একটি ট্রাফিক সিগন্যালে এই নয়া ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে শহরের বাদবাকি বেশ কিছু জায়গায় তা চালু হবে। এমনটাই দাবি মহারাষ্ট্রের পর্যটন ও পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য থ্যাকারের।
পথচলতি মানুষ তো বটেই, বিএমসি’র এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটনাগরিকদের একটা বড় অংশ। পাশাপাশি একটা প্রশ্নও উঠে আসছে। এই ছোট্ট অথচ জরুরি বদলের চিন্তাটি কার মাথা থেকে এসেছে? উত্তরে বিএমসি জানিয়েছে খুব পরিচিত এক আধিকারিকের নাম—কিরণ দিঘাভকর। ধারাভি বস্তির বল্গাহীন করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়ার নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন কিরণ। তাঁর কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোভিড যুদ্ধ মোকাবিলার দায়িত্ব এখন শেষ হয়নি। লড়াই জারি পুরোদমে। এরই মধ্যে ঘরে-বাইরে লিঙ্গ বৈষম্য নামক ‘ভাইরাস’ ঘোচানোর কাজটি কয়েক কদম হলেও এগিয়ে রাখলেন কিরণ। করোনা আজ না হোক কাল মুছে যাবে, নিশ্চিত। কিন্তু নারী-পুরুষের সমানাধিকারের অঙ্কটি মেলাবে কে? ‘সিটি অব ড্রিমস’-এর পথেই সে উত্তরের ভার ছেড়ে দিয়েছেন কিরণ।