উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
এমসিআই-এর বোর্ড অব গভর্নর্স-এর সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ আর কে বৎস্য পুরোটা খোলসা না করলেও বলেন, সারা দেশেই ফার্স্ট এমবি পরীক্ষা দু’মাস না তিন মাস পিছবে, এখনই বলা কঠিন। কারণ, লকডাউন এবং পরিবেশ পরিস্থিতির উপর বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন কলেজে অনলাইন ক্লাস হয়েছে। পিছবে এটা বলা যায়, তবে কতটা, এখনই বলা মুশকিল। তাছাড়া আর দু’-তিনদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত গাইডলাইন বেরবে।
প্রসঙ্গত, দেশে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে প্রায় ৬৮ হাজার ৫০০টি মেডিক্যাল আসন আছে। নতুন চালু হয়েছে আরও কমবেশি ২০ হাজারের বেশি ডাক্তারি আসন। সবমিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার এমবিবিএস আসন রয়েছে। এমসিআই-এর নতুন পাঠ্যক্রম কমপিটেন্স বেসড মেডিক্যাল কারিকুলাম অনুযায়ী, প্রথম বর্ষের ১৩ মাসের পাঠ্যক্রম (এক মাসের ফাউন্ডেশন কোর্স মিলিয়ে) শেষ করে এমবিবিএস-এর প্রথম পর্ব বা ফার্স্ট এমবি’র পরীক্ষা এ বছর এই প্রথমবার হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরে। কিন্তু করোনা ও লকডাউনের ঠেলায় ‘প্র্যাকটিক্যাল’ হয়নি বললেই চলে।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, ২৪ মার্চ লকডাউনের সময় থেকে পড়াশোনার সময় নষ্ট হয়েছে প্রায় তিন মাস। এই পর্বে যেটুকু পঠনপাঠন হয়েছে, সবটাই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে অর্থাৎ থিওরি। তাও বেশিদিন শুরু হয়নি। প্র্যাকটিক্যালই যদি না হয়, কোর্স শেষ হবে কী করে, পরীক্ষাই বা হবে কী করে?
এইসব নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সম্প্রতি এমসিআই-এ বোর্ড অব গভর্নর্স-এর সদস্যরা বৈঠকে বসেন। ছিলেন দেশের সবক’টি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও। এমসিআই-এর এক শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, শীঘ্রই জারি হতে চলা অ্যাডভাইসরিতে করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কীভাবে পাঠ্যক্রম শেষ করা যায়, তার দিশা দেওয়া হবে। যদিও পাঠ্যক্রম শেষ করাটা অনেকটাই নির্ভর করছে রাজ্যগুলির উপর। সারা দেশে এক নিয়ম এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের নিয়ম আলাদা।
এদিকে, এবার খোদ আলিমুদ্দিনেই করোনার থাবা। সিপিএমের শীর্ষস্থানীয় নেতা তথা পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দিন দুয়েক আগেই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মৃদু উপসর্গ থাকায় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তবে সোমবার চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মাস দুই আগে সেলিমের বড়দা কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান।