কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
হাবিবুল্লার কাঁকসার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে ওই লাল ডায়েরিটি নজরে আসে এসটিএফের। সেটি খুলে দেখতেই চক্ষুচড়কগাছ। ডায়েরির পরতে পরতে লেখা, শাহাদতের সদস্য হতে গেলে কী কী যোগ্যতার প্রয়োজন, কী কী নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে, কারাই বা সদস্য হতে পারেন, কাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যেতে পারে, কারা সংগঠনের প্রতি সহানুভূতিশীল প্রভৃতি। এরই পাশাপাশি, লেখা রয়েছে একাধিক লোকের নাম। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই তালিকা ধরে সবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করতে শুরু করেছেন তাঁরা।
হাবিবুল্লার বাড়ি থেকে অজস্র ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড লেখা কাগজও উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি ডিকোড করেছেন গোয়েন্দারা। তাতে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাবিবুল্লা একাই প্রায় ৫০টি ই-মেইল আইডি পরিচালনা করত। এতগুলির পাসওয়ার্ড মনে রাখা সম্ভব ছিল না। তাই পাসওয়ার্ডগুলি লিখে রেখেছিল। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ই-মেইল আইডি গুলি থেকে ভারত বিদ্বেষী নানা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হতো শাহাদতের নব্য সদস্যদের কাছে। উদ্বুদ্ধ করা হতো তালিবানি আদর্শে। মেইল পাঠিয়েই তা ডিলিট করে দিত হাবিবুল্লা। সে ভেবে ছিল এই তথ্য কেউই উদ্ধার করতে পারবে না। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি তার অজান্তেই ‘বন্ধু’ হয়ে গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে, হাবিবুল্লার যাবতীয় গতিবিধি, কার্যকলাপ—সবকিছুই তাঁদের নখদর্পণে ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু গ্রেপ্তারের সময় সুযোগের। শনিবার দুপুরে কাঁকসা থানার পৈরাগপুর থেকে হাবিবুল্লাকে জালে তোলে এসটিএফ।