গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
বক্তব্য শুনবেন বলে মনোস্থির করে সকাল থেকে বসে পড়লেন টিভির পর্দায়। পুরো বক্তব্য শুনলেন। আর ভাগ্নি মমতাকে মামা অনিল মুখোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ, তুমি জয়ী হবেই।
কুসুম্বা গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা বাড়ি। মমতার মামা অনিল মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৮৫ বছর। কিন্তু প্রতিদিন খোঁজ খবর রাখেন রাজনীতি সব বিষয়ে। বিশেষকরে তৃণমূলের কর্মসূচি ও দলের বক্তব্য সবসময় নজরে থাকে তাঁর। মমতার বক্তব্য সবসময় শোনবার চেষ্টা করেন তিনি। খুঁটিয়ে পড়েন খবরের কাগজ। এদিন বাড়ির থেকে একটু দূরে সভা হচ্ছে জেনে, ইচ্ছেও ছিল তাঁর স্বশরীরে হাজির হওয়ার। কিন্তু সেটা সম্ভব না হলেও, ভাগ্নির বক্তব্য টিভির পর্দায় দেখেছেন-শুনেছেন তিনি। অনিলবাবু বললেন, মমতা যেন প্রতিদিন তাঁর বক্তব্যে নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। তথ্য ও যুক্তি দিয়ে বক্তব্য পেশ করছেন এবং বিরোধীদের অভিযোগকে খণ্ডন করছেন। এটাই একজন সফল রাজনীতিবিদের পরিচয় হওয়া উচিত। মমতা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ওর আরও সাফল্য অনিবার্য। কারণ মানুষ ওকে চাইছে। আমার আশীর্বাদ সবসময় ওর জন্য রইল। ভাগ্নি মমতার সাফল্যের সূত্র ধরে মামা অনিলের প্রত্যয়ী সুর, লোকসভায় তৃণমূলের খুব ভালো ফল হতে চলেছে। বিরোধীরা যত গালমন্দ করুক না কেন, মমতার শক্তি মানুষ। তাঁরাই আমার ভাগ্নিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মামা এদিন সভায় আসতে না পারলেও, পাঠিয়েছিলেন ছেলে নীহার ও পুত্রবধূ পম্পাকে। তাঁরা দুজন সভামঞ্চে হাজির ছিলেন। মমতার মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় বলেন, এখন ভোটের সময়। সারাদিন প্রচারে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় ছুটছেন। নিশ্চয় সময় পেলে আমাদের বাড়িতে আসবেন। আর পম্পা মুখোপাধ্যায় সভা প্রাঙ্গণে এসে খানিকটা আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন। তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে লেখা একটি চিঠি। বহু পুরনো সেই চিঠি। মাত্র কদিন আগে খুঁজে পেয়েছেন। মামাকে উদ্দেশ্য করে লেখা মমতার সেই চিঠি। পম্পা বললেন, বাড়ির সবাই দিদির জন্য অপেক্ষায় রয়েছি.....।