অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কিন্তু কেন এই বিপত্তি? নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘোষণামতো এদিন বিকেল ৪টে থেকে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়। এর জন্য http://www.cowin.gov.in লিঙ্ক থেকে কো-উইন পোর্টালে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। পাশাপাশি আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকেও টিকা নেওয়ার জন্য নাম লেখানো যাবে। স্বাভাবিকভাবেই তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ তুঙ্গে ওঠে। একটি সূত্রের দাবি, প্রথম থেকেই একসঙ্গে বহু মানুষ নাম নথিভুক্তির চেষ্টা করেন। প্রতি মিনিটে প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ কো-উইন ওয়েবসাইটে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। ফলে সার্ভারের উপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয়। যার জেরেই এই বিপত্তি। প্রযুক্তিগত সমস্যায় কেউ ওটিপি পাননি, কারও রেজিস্ট্রেশন নম্বর আসেনি। কারও আবার অভিযোগ, ১৮ ঊর্ধ্বদের নাম লেখানোর কোনও অপশনই নেই। এপ্রসঙ্গে আরোগ্য সেতুর অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, কো-উইন পোর্টাল কাজ করছে। বিকেল ৪টে নাগাদ সামান্য কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। তার সমাধান করা হয়েছে। ১৮ ঊর্ধ্বরা রেজিস্টার করতে পারবেন। গোটা সমস্যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ন্যাশনাল হেল্থ অথরিটির সিইও আরএস শর্মা। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আমরা দিনে ৫০ লক্ষ নাম নথিভুক্ত করেছিলাম। এদিন সম্ভবত সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। যদিও আমরা এখন প্রস্তুত রয়েছি। তাঁর আরও দাবি, নাম নথিভুক্ত করা এবং টিকা গ্রহণের সময় পাওয়া—দু’টি আলাদা বিষয়। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। যেখানে যেমন ভ্যাকসিন মজুত থাকবে, সেভাবেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হবে। তাই সকলের ধৈর্য্য ধরা উচিত। পাশাপাশি, রাজ্যের তরফে টিকা কেন্দ্রের বিস্তারিত তথ্য হাতে পাওয়ার পরই স্লট বুকিং শুরু হবে বলে জাননো হয়েছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নেট নাগরিকরা। স্ক্রিনশট সহ একাধিক সমস্যার কথা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। রাহুল পুঙ্গা নামে এক ট্যুইটার ব্যবহারকারীর শেয়ার করা স্ক্রিনশটে স্পষ্ট করে কো-উইন সার্ভারে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। নাম নথিভুক্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন খড়দহের বাসিন্দা বিল্টু দাসও। তাঁর দাবি, টিকা নেওয়ার সময় পছন্দ করতে গিয়ে ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য কোনও অপশনই পাওয়া যায়নি। একইভাবে নাম লেখাতে না পেতে মন খারাপ গড়িয়ার বাসিন্দা ২০ বছর বয়সি স্পন্দন চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোনও সেন্টারের হদিশ দিতে পারেনি কো-উইন। কমবেশি এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন বহু মানুষ।