অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
শেষ দফার ভোটে বেশ কিছু বুথকে অতি সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। মালদহে ২ হাজার ৭৩টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১২৮টি বুথ, মুর্শিদাবাদে ৩ হাজার ৭৯৬টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ৮২৫টি, বীরভূমের ৩ হাজার ৯০৮টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ এবং উত্তর কলকাতায় ২ হাজার ৮৩টি বুথের মধ্যে ৮৮০টি অতি সংবেদনশীল। ওই সব বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। অষ্টম দফায় থাকছে ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে বুথ পাহারাতেই থাকছে ৬৪১ কোম্পানি—বীরভূমে ২২৪ কোম্পানি, মালদহে ১১০, মুর্শিদাবাদে ২১২ এবং উত্তর কলকাতায় ৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে সমান সংখ্যক বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হলেও বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বীরভূমে। আর রাজ্য থেকে ফিরে গিয়েছে ৩১৮ কোম্পানি আধাসেনা।
ভোটের নিরাপত্তার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বুথে বুথে। করোনা বিধি মেনে ভোটগ্রহণ করার জন্য জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণের আশঙ্কায় সপ্তম দফায় ভোটদানের হার কম ছিল। আজ কী হয়, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন কমিশনের কর্তারা। এদিনই মানিকচকের তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে প্রার্থীদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে। যেহেতু শেষ দফার এই ভোটে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীরও ভাগ্য নির্ধারণ হবে, তাই আশঙ্কার মেঘ আরও ঘন হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, শশী পাঁজা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিং প্রমুখ। আজ ভাগ্যপরীক্ষা হবে পরেশ পাল, অতীন ঘোষ, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বর্ণকমল সাহা বেশ কয়েজন পরিচিত নেতা-নেত্রীরও। টান টান উত্তেজনা রয়েছে বেশ কয়েকটি আসনে। মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কয়েকটি কেন্দ্রে মূল লড়াই হচ্ছে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চার মধ্যে। তবে কলকাতা ও বীরভূমে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপি। কোনওরকম হিংসাত্মক ঘটনার সূত্রপাত যাতে না ঘটে, তাই এই দফায় বাড়তি সতর্ক থাকবে বাহিনী ও প্রশাসন।
আজ ভোটে নজরদারি করবেন ৪২ জন পর্যবেক্ষক। যার মধ্যে ২৪ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক ন’জন এবং পুলিস পর্যবেক্ষকের সংখ্যাও তাই। বীরভূমের জন্য ছ’জন অফিসারকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে ২৭ হাজার ৯৪৫টি। নগদ ৫৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা সহ ৩৩৬ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। বেশ কিছু বোমা উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যে। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের শো-কজের জবাব দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হোক। কবেকার ঘটনা মনে করতে পারছি না।