কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রী নিষ্ক্রমণের জন্য কংক্রিটের জোড়া টানেল ফুটো করে পথ (সিপি-২) তৈরি করা হচ্ছিল। ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর সেই কাজ করতে গিয়েই বিপর্যয় ঘটেছিল বউবাজারে। প্রতি মিনিটে প্রায় এক হাজার লিটার জল ঢুকে পড়ে পাতালপথে। তার ধাক্কায় সুড়ঙ্গে চলে আসে ৭০০ কিউবিক মিটার মাটি। সবমিলিয়ে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর ঘনবসতিপূর্ণ বউবাজারের বালি মাটির প্রতিকূল চরিত্র বুঝে সেখানে প্রস্তাবিত ‘সিপি-২’ নির্মাণের গোটা পরিকল্পনাই বাতিল করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে জল আটকানোর জন্য বিবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল। শেষমেশ এদিন ভোর ৬টায় মেট্রো টানেলের সেই ‘অভিশপ্ত ছিদ্র’ পুরোপুরি বন্ধ করার কাজ শেষ হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আইটিডি-সিমেন্ট্রেশন ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার পিনাকী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত দেড়বছর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অবশেষ টানেলের ওই অংশ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা গিয়েছে। এই কাজের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৫৫ জন এলাকাবাসীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্পর্শকাতর এই কাজটি সম্পূর্ণ করা গিয়েছে। পূর্বমুখী টানেলের সামান্য অংশের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তা শেষ হলেই এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ জুড়ে যাবে।
শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড—দুই স্টেশনের দূরত্ব ২.৪৫ কিলোমিটার। রাজনৈতিক জাঁতাকলে পড়ে আন্তর্জাতিক নিয়মের পরিপন্থী এই দীর্ঘ মেট্রো পথ নির্মাণে নানা বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়। তাই এক টানেলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটলে অপর টানেলের মধ্যে দিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনতে মোট সাতটি ক্রস প্যাসেজ (সিপি) তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে চারটি বহুদিন আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকি তিনটির মধ্যে প্রথমটি তৈরি করতে গিয়েই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। ধস নেমে শয়ে শয়ে পরিবার ঘরছাড়া হয়। এদিন সকালেই সেই ‘সিপি-টু’ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাকি দু’টি আর নির্মিত হবে না। তার পরিবর্তে বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের মাটির তলায় তৈরি হচ্ছে যাত্রী নিষ্ক্রমণের আপৎকালীন সিঁড়ি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দমকল বিভাগ ইতিমধ্যেই তার ছাড়পত্র দিয়েছে। তার ভিত্তিতে এই অংশের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। বিপদের সময়ে টানেলের গায়ে নির্মিত হাঁটার পথ ধরে সিঁড়ির কাছে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। সেখান থেকে সহজেই বাইরে বেরনো যাবে।