কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে হারের কারণ হিসেবে দলের নেতাদের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন পার্থবাবু। বাগদা বিডিও অফিসকে ‘দুর্নীতির আখড়া’ বলে অভিহিত করে কর্মিসভায় তিনি বলেন, বিডিও অফিস দালালে ভরে গিয়েছে। ভোটের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের একাধিক নেতা দুর্নীতিগ্রস্ত। ভোটের ফলে এর প্রভাব পড়েছে। পার্থবাবু বলেন, যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁরা মানুষের সামনে যাবেন না। অন্ধকারে গিয়ে মানুষের কাছে ক্ষমা চান। টাকা নিলে গোপন তা ফেরত দিন। এ বিষয়ে পার্থ ভৌমিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দলের অন্দরের। এ বিষয়ে কিছু বলব না।
উপ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরকে জেতাতে সকলকে একযোগে লড়াই করার আহ্বান জানান সদ্য নির্বাচিত সাংসদ। নিজের বুথে না জিততে পারলে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হবে না বলে পঞ্চায়েত সদস্যদের স্পষ্ট বার্তা দেন পার্থবাবু। এদিনের সভায় পার্থবাবুর কাছে স্থানীয় নেতাদের ধমক খাওয়া দেখে, কিছুটা হলেও উচ্ছ্বসিত নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। বাগদার এক কর্মী বলেন, সাংসদ ঠিকই বলেছেন। নেতারা টাকা খেয়ে দলের বদনাম করছে। তাঁদের জন্য নির্বাচনে এই অবস্থা। তৃণমূল সাংসদের এদিনের মন্তব্যের প্রসঙ্গে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, তৃণমূলকে কেউ ক্ষমা করবেন না। মানুষের উপর এরা যে অত্যাচার করেছে, তাতে না মানুষ, না ভগবান কেউ ওদের ক্ষমা করবে না। সভায় পার্থবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, বাগদা ব্লক সভাপতি পরিতোষ সাহা ও বয়রা অঞ্চলের বুথ সভাপতিরা।