কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
কমলা রাজবংশীর স্বামী আগেই মারা গিয়েছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে মুম্বইতে থাকতেন। বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি কসবার কিছু দূরেই। কমলার ছোট মেয়ের ‘লাকি নম্বর’ হল ‘৭৮৬’। তিনি এই সিরিয়াল নম্বরের টাকা হাতে এলে যত্ন করে রেখে দিতেন। মায়ের প্রয়োজনে সেই জমানো টাকা থেকে কয়েক হাজার টাকা মুম্বই থেকে কলকাতায় পাঠিয়েছিলেন। মা আলমারির লকারে রেখেছিলেন সে টাকা। সুনীল শাশুড়িকে খুন করার পর আলমারি থেকে সোনাদানা ও সাড়ে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ৭৮৬ নম্বরের টাকাও।
এদিকে মায়ের খুনের খবর পেয়ে মুম্বই থেকে আসেন ছোট মেয়ে। আর সকলের সন্দেহ এড়াতে বড় জামাই সুনীল পুলিসের কাছে ছুটে ছুটে যেতেন তদন্তে সহযোগিতার ভান করে। এর মধ্যে একদিন আচমকা টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ছোট মেয়ে জামাইবাবুকে কিছু টাকা ধার দিতে অনুরোধ করেন। সুনীল ছোট শ্যালিকাকে পাঁচ হাজার ছ’শো টাকা ধার দেন। সে টাকা হাতে পেয়েই চোখ কপালে ওঠে শ্যালিকার। সবকটি নোটের নম্বরই ৭৮৬। যা তাঁর লাকি নম্বর। এই টাকা তিনি নিজেই যত্ন করে জমিয়েছিলেন। এই টাকাই পাঠিয়েছিলেন মাকে। জামাইবাবু এ টাকা হাতে পেলেন কী ভাবে? জামাইবাবুকে সরাসরি প্রশ্নটা করেন, ‘এই টাকা আপনি কোথা থেকে পেলেন?’ এর কোনও উত্তর না দিয়ে সুনীল তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কমলার ছোট মেয়ের সন্দেহ দৃঢ় হয়। সটান যান পুলিসের কাছে। বিষয়টি জানান। পুলিস তদন্তে গতি পায়। সুনীলের বাড়ি যায়। সেখান থেকেও ওই সিরিয়াল নম্বরের কিছু টাকা উদ্ধার হয়। ততক্ষণে অবশ্য সুনীল পলাতক। তারপর দেড় মাস বাদে রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার হয় সে। সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য জানান, ‘এই মামলায় পুলিস নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয়। সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৯ জন। মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন সন্দীপ প্রামাণিক।’