কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
জলে সাঁতার দিয়ে ডুবতে থাকা সেই ব্যক্তিকে টেনে পাড়ে নিয়ে এল কুকুর দুটো। হাঁফ ছেড়ে বাঁচার মত ঘটনা হলেও আসলে এটা একটা মহড়া। যা এই প্রথমবার কার্যকর করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। জলে কেউ ডুবে গেলে বা ডুবছে দেখলে তৎক্ষণাৎ সেই জায়গা চিনিয়ে দেবে এবং উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই দুই সারমেয়। আদর করে তাদের নাম দেওয়া হয়েছে, লিলি এবং রোমিও। নিজেদের চৌহদ্দির মধ্যে থাকা ঝিলে তিন মাসের প্রশিক্ষণ হয়েছে লিলি ও রোমিওর। তারপর একটি নকল ঘটনাস্থল বানিয়ে তাদের পরীক্ষা নিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্তারা। আর লেটার নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হল দু’জনেই। এদিন সাগরে ছিল তাদের প্রথম পরীক্ষা। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের এক সদস্য পাড় থেকে কিছুটা দূরে সমুদ্রের জলে ডুবে যাওয়ার অভিনয় করেন। কিছুক্ষণ জলের তলায় ডুবেও থাকেন তিনি। এরপরই কুকুরদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে সাঁতরে সেই জায়গায় গিয়ে ওই আধিকারিককে টেনে তুলে পাড়ে নিয়ে আসে তারা। গোটা কর্মকাণ্ড দেখে হাঁ বিচে উপস্থিত মানুষজন। কীভাবে দেওয়া হল এই ট্রেনিং? ট্রেনার সন্দীপ গাদভি বলেন, দু’মাস ধরে জলের মধ্যে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। প্রথমে জীবিত মানুষের শরীরের গন্ধ কেমন হয় তার সঙ্গে পরিচিত করানো হয় এই দুই সারমেয়কে। সবার আগে সুইমিং পুল। তারপর বড় ঝিলে নিয়ে গিয়ে তাদের আবার জীবিত মানব শরীরের গন্ধের সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। তারপরের ধাপে একজন ডুবুরিকে জলের নীচে রেখে দেওয়া হয়। এরপর লিলি ও রোমিওকে জলে ছেড়ে দিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়। জলে যাতে তারা ঠিক মত সাঁতার কাটতে পারে, তার জন্য বিশেষভাবে লাইফ জ্যাকেট তৈরি করা হয়েছে। জলে ডুবে মৃত্যুর অনেকদিন পরও দেহ মেলে না, সেক্ষেত্রে সেই দেহ চিহ্নিত করতেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই ট্রেনার। গঙ্গাসাগরেই কেন এদের প্রথম নামানো হল, তার উত্তরে তিনি বলেন, এখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। তাই কিছু দুর্ঘটনা ঘটলে চটজলদি খুঁজে বের করতে এদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।