কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে হার্টের জটিলতার কারণে পিজিতেই গঙ্গাদেবীর শরীরে পেসমেকার বসানো হয়েছিল। যন্ত্রটি ঠিকমতো কাজ না করায় এক সপ্তাহ আগে তিনি এখানকার ইমার্জেন্সিতে দেখাতে আসেন। সিটি স্ক্যান এবং এক্স-রে করা হয়। দেখা যায়, পেসমেকারের একটি লিড বৃদ্ধার হার্ট ভেদ করে চেস্ট ক্যাভিটি পর্যন্ত চলে গিয়েছে। ভাগ্যক্রমে তাঁর ফুসফুস ফুটো হয়নি তখনও। এরপরই হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ থেকে রোগীকে ‘রেফার’ করা হয় কার্ডিওথোরাসিক বিভাগে। বিভাগীয় চিকিৎসকরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে আসেন, যা করার চটজলদি করতে হবে। কারণ, লিড হার্ট ফুটো করায় রোগিণীর দু’টি প্রাণঘাতী বিপদ হতে পারে। এক, যে কোনও সময় হার্টে রক্তপাত শুরু হতে পারে। এই ধরনের মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিকে বলা হয় ‘কার্ডিয়াক টাম্পোনাদ’। এই বিপদে রক্তপাতের জেরে জমে যাওয়া রক্ত হার্টে চাপ দিতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। দ্বিতীয়ত, লিডটি বাঁদিকের চেস্ট ক্যাভিটি পর্যন্ত চলে যাওয়ায় সেখানে বাতাস জমে নিউমোথোরাক্স নামে আরও এক ধরনের জটিল ও প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
পেটের কাছে তিন ইঞ্চি ছিদ্র করে সেখান দিয়ে অস্ত্রোপচারের সামগ্রী প্রবেশ করিয়ে বের করে আনা হয় হার্টে ঢুকে থাকা লিডটি। এরপর ওই অংশ দিয়েই একটি ডবল চেম্বার পেসমেকার স্থায়ীভাবে বসানো হয়। ব্যাটারি রাখার জন্য ভিতরে একটি পকেটের মতো অংশ তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতিকে বলে পারমানেন্ট এপিকার্ডিয়াল পেসিং। এই পরিস্থিতিতে রোগীর শরীরে পেসমেকার বসানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি বিশেষ ধরনের লিড ব্যবহার করা হয়। শুধু সেটিরই দাম ৭৫ হাজার টাকা। পেসমেকার, লিড এবং যাবতীয় চিকিৎসা ও অপারেশন হয়েছে বিনা খরচে। পুরো প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী অন্যতম সিটিভিএস সার্জেন শিল্পাদেবী বলেন, চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। রোগী এখন ভালো আছেন। এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।