কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসনের তেহট্ট বা তেহাটা গ্রাম গত কয়েক বছর ধরে শাসকদলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছর চারেক আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম কমিটির সভাপতি সামাদ আলি খুন হন। তাতে দলের অপর নেতা, সামাদের ভাইপো মোতালেফ আলি গ্রেপ্তার হন। সম্প্রতি মোতালেফ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ঢোকার পরিকল্পনা করছেন। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আকচাআকচি তীব্র হয়েছে। ওই তেহট্ট গ্রামেই শাসন অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সইদুল ইসলামের বাড়ি। সইদুল মোতালেফ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত। গত এক সপ্তাহ ধরে রাত নামলেই তেহট্ট গ্রামের মাঠপাড়া ও মোল্লাপাড়ায় দেদার বোমাবাজির পাশাপাশি শূন্যে গুলি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলেয়া বিবির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার পাশাপাশি ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওমতে আলেয়া বিবি বউমা ও নাতিদের নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর তাঁর বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। তিনি ওই রাতেই শাসন থানায় গিয়ে সইদুল ইসলাম সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আলেয়া বিবি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আমার বাড়ির সামনে বোমা ফেলছে। আমি বাড়িতে বউমা ও নাতি‑নাতনিদের নিয়ে থাকি। প্রতিবাদ করায় আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা চেয়েছিল। কাল রাতে বাড়িতে ঢুকে অকথ্য অত্যাচার করে। আমরা কোনওমতে প্রাণ হাতে করে বাড়ি থেকে থানায় চলে আসি।
এই প্রসঙ্গে সইদুল ইসলাম বলেছেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। দলের একাংশ এই ধরনের নোংরা খেলা খেলছে। আমি দলের বিধায়কের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত কিছু জানিয়েছি। আমি চাই পুলিস নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নিক।