কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণার মামলাটি পাঁচ বছর আগের। রাজারহাটের ইকো পার্ক এলাকায় ২০১৭ সালের মার্চে একটি কনসালটেন্সি ফার্ম খোলা হয়েছিল। বিদেশে বেকার যুবক-যুবতীদের কাজ পাইয়ে দেবে বলে তারা কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়। একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়। তা দেখে বহু বেকার তরুণ-তরুণী যোগাযোগ করেন। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ পাইয়ে দেবে বলে তারা মোটা টাকা প্রতারণা করে। যার পরিমাণ ৬০ থেকে ৭০ কোটি বলে জানা যাচ্ছে। মাস তিনেক পর এই প্লেসমেন্ট এজেন্সি গুটিয়ে যায়। প্রতারিতরা ইকো পার্ক থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু কোনও মামলা হয়নি। প্রতারিতরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সিআইডির দ্বারস্থ হন। এরপর ইকো পার্ক থানা কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
কিন্তু তদন্তের শুরুতেই সমস্যায় পড়েন অফিসাররা। যোগাযোগের জন্য যে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন প্রতারিতরা, তা অনেক আগে ‘ডিঅ্যাক্টিভ’ হয়ে গিয়েছিল। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছে এক বছর পর্যন্ত সমস্ত রেকর্ড থাকে। এক্ষেত্রে পাঁচ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় কল ডিটেইলস পাওয়ার কোনও উপায় ছিল না। তাই কোনওরকম ‘ক্লু’ ছাড়াই তদন্ত শুরু করতে হয়। এক্ষেত্রে হেক্সা ডেসিমেল পদ্ধতির সাহায্যে বিভিন্ন নম্বরের পারমুটেশন-কম্বিনেশন করা হয়। তথ্য জানতে যোগাযোগ করা হয় আরওসির সঙ্গে। জানা যায়, ওই কোম্পানি এখনও সক্রিয়। এরপর পুরনো নম্বরে অটো জেনারেটেড কোনও মেসেজ এসেছে কি না, খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক জানায়, তাদের মেসেজ গিয়েছে ওই সংস্থায়। ওই ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট ছিল। তবে সেটি ‘ক্লোজ’ করে দিয়েছে প্রতারকরা। মোবাইল নম্বরটিরও অস্তিত্ব নেই। অফিসাররা জানতে চান, ওই ব্যাঙ্কে দুই অভিযুক্তের কোনও ক্রেডিট কার্ড আছে কি না। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছে অভিযুক্তরা। এখান থেকেই তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেয়। তারপর লেনদেনের সূত্র ধরে তাদের খোঁজ মেলে।