ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
হোগলবেড়িয়ার এক কলা চাষি সাধন প্রামাণিক বলেন, ১৫ বছর আগেও এই এলাকাই প্রচুর পান চাষ হতো। তাছাড়া, মরশুমে সব চাষিই কম-বেশি পাট চাষ করতেন। কিন্তু মাটি ও আবহাওয়ার কারণে পান চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাট চাষে ব্যাপক খরচের কারণে ধীরে ধীরে এলাকার বেশিরভাগ চাষি বর্তমানে কলা চাষ করছেন। করিমপুর এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ চাষি কলা চাষ করেন। চাষ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রায় প্রতিটি এলাকায় কলা বিক্রির জন্য হাট তৈরি হয়েছে। যেখানে খুব সহজেই চাষিরা নিজেদের ফসল বিক্রি করতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র হোগলবেড়িয়ার রাজাপুরেই চারটি কলার হাট রয়েছে। সেখান থেকে চাষিদের বিক্রি করা কলা ট্রাক বোঝাই হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। রহমতপুরের চাষি স্বপন মণ্ডল বলেন, এই এলাকায় মূলত চাঁপা আর সিঙ্গাপুর প্রজাতির কলার চাষ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২৮০টি চাঁপা কলার গাছ ও প্রায় ৪০০টি সিঙ্গাপুর কলার চাষ করা যায়। এক বিঘা জমিতে চাঁপা কলা চাষে ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে, সিঙ্গাপুর কলার জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝা না হলে প্রতি বিঘা জমিতে চাষিদের ভালো লাভ হয়। চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস অবধি কলার চাহিদা বেশি থাকায় ওই সময়ে ভালো দাম পাওয়া যায়। করিমপুরের এক কলা ব্যবসায়ী অনিমেষ প্রামাণিক বলেন, এলাকার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কলা চাষের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত। এলাকায় টোটো থেকে শুরু করে ছোট-বড় ট্রাক কলা পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত হয়। অনেক বেকার যুবক জমি থেকে চাষিদের কাছে থেকে কলা কিনে এনে হাটে বিক্রি করেন। এভা বেই তাঁরা রোজগার করছেন। অনেক যুবক কলার গাড়ি বোঝাই করার জন্য কিংবা ব্যবসায় হিসেব রাখার কাজ করেন। করিমপুর থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৪০টি ট্রাক কলা বিক্রির জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজ্যের বর্ধমান, মালদহ, সিউড়ি, শিলিগুড়ির পাশাপাশি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড বা বিহার রাজ্যেও কলা রপ্তানি করা হয়। কলা বর্তমানে এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে দাঁড়িয়েছে।