ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি করে গোষ্ঠীর জন্য একটি করে ফার্ম তৈরি করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আরামবাগের বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, ব্লকে প্রথমবার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত ৩৫টি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা উপকৃত হবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে গতি আনতে ইতিমধ্যেই আরামবাগ মহকুমার অধীনস্থ ৬টি ব্লকের বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। ওই বৈঠকে উঠে আসে, আরামবাগ মহকুমায় গত বছরের তুলনায় এবছর ১০০ দিনের কাজের গতি অনেকটাই শ্লথ। যে কারণে, ১০০ দিনের কাজে গতি আনতে বিভিন্নরকম প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই আরামবাগ ব্লক প্রশাসনের তরফে পোল্ট্রি ফার্ম তৈরির নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে আরামবাগ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ফার্ম পরিচালনার কাজ করানো হবে। সেই সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে। আরামবাগ ব্লকের এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের এক আধিকারিক বলেন, মূলত আমাদের ব্লকের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হয়েছে। এর আগে ফার্ম পরিচালনার জন্য কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে সরকারিভাবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। আগে এই ফার্ম পরিচালনার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ ব্যক্তিকেন্দ্রিক। জানা গিয়েছে, প্রথম অবস্থায় ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি থেকে ৩৫ স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ফার্ম তৈরি ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পোল্ট্রি ফার্মের জন্য জমি দিতে হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। পাশাপাশি ফার্ম নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক খরচ বহন করা হবে এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের মাধ্যমে। ফার্ম চালু করলে প্রথম অবস্থায় মুরগির ২৮ দিনের খাবার সরবরাহ করবে প্রাণিসম্পদ দপ্তর। আগামী দিনে এই সব ফার্ম থেকে মুরগির ডিম সরবরাহ করা হবে পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বিভিন্ন আইসিডিএস কেন্দ্রে। ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে ১০০ দিনের শ্রমিকরা যেমন কাজ পাবেন, অন্যদিকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে স্বাবলম্বী হবে। এছাড়া আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিকে আগামী দিনে খোলাবাজার থেকে ডিম কিনতে হবে না। প্রশাসনের নয়া এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মীদের একাংশ।