কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
সোমবার রাতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। তাই শেষ চারে ওঠার অঙ্কটা পরিষ্কার ছিল আফগানিস্তানের সামনে। প্রয়োজন শুধু বাংলাদেশকে শুধু হারানো। নাজমুল হোসেন শান্তদের সামনেও স্পষ্ট ছিল অঙ্ক। নেট রান-রেট বাড়িয়ে জিততে হবে পদ্মাপারের দলকে। টস জিতে ব্যাটিং নিলেও আফগানরা শুরুতে ঝড় তুলতে পারেনি। আর্নোস ভেল মাঠে স্ট্রোক নেওয়া মোটেই সহজ ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১১৪ রান তোলে তারা। রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৪৩) ছাড়া কেউ কুড়ি পেরননি। রশিদ (অপরাজিত ১৮) অবশ্য শেষের দিকে ঝড় তোলেন। বাংলাদেশের হয়ে রিষাদ হোসেন ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট।
পদ্মাপারের দলের রান তাড়ার শুরুটা ভালো হয়নি। ২৩ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৩ উইকেট। ৩.২ ওভারে বৃষ্টি নামার সময় স্কোর ছিল ৩১-৩। ১১.৪ ওভারে ফের নামে বৃষ্টি। তখন অবশ্য বাংলাদেশের ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছে। উঠেছে ৮১ রান। সেই সময় এক ওভার কমিয়ে দেওয়া হয় অর্থাৎ, ১৯ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ১১৪। সেই সময় বারবার খেয়াল রাখতে হচ্ছিল ডি-এল স্কোর। কারণ, বৃষ্টিতে খেলা যদি শুরু না হয়, তবে তাতেই ঘটবে নিষ্পত্তি। আর বাংলাদেশ যদি তাতে এগিয়ে থাকে, তবে শেষমেশ অজিরাই উঠবে সেমি-ফাইনালে। তা অবশ্য হয়নি। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানেই থেমে যায় টাইগার্সদের ইনিংস। ব্যর্থ হয় লিটন দাসের (অপরাজিত ৫৪) একক লড়াই। আফগানিস্তানের হয়ে নবীন-উল-হক (৪-২৬), রশিদ (৪-২৩) বল হাতে নজর কাড়েন। আফগানদের জয়ের সঙ্গে অবশ্য জড়িয়ে থাকল বিতর্কও। গুলবাদিন নাইবের সময় নষ্ট করতে মাঠে পড়ে যাওয়ার সমালোচনায় ক্রিকেট মহলের অনেকেই। আফগান কোচ জোনাথন ট্রটকেও দেখা যায় খেলার গতি মন্থর করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে। তবে তা ছাপিয়ে যাচ্ছে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়।
টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে আফগানিস্তান ওঠার পর দেশজুড়ে উৎসবে মাতলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল রশিদ খানরা। এবার সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে পরপর হারিয়ে কাপযুদ্ধের শেষ চারে উঠল তারা। জয়ের সঙ্গে সঙ্গে কাবুল, খোস্ত, পাকতিয়ার রাজপথে নেমে পড়েন মানুষ। চলে সেলিব্রেশন। সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কাবুল ও জালালাবাদের উচ্ছ্বাসের ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের এই সাফল্যে আনন্দে মেতেছে দেশবাসী। ওরা জানে উদযাপন করতে।’