সংবাদদাতা, কাঁথি: স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে মিড ডে মিলের রান্নার দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে নানা অনিয়ম হয়েছে। এমনই কিছু অভিযোগে শনিবার এগরা শহরের জগন্নাথপুর পল্লিমঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষক এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সুপারভাইজারকে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখালেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। শেষ পর্যন্ত এগরা থানার পুলিস সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রথমে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। খবর পেয়ে ওই সুপারভাইজার সেখানে এলে তাঁকেও তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভকারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের অভিযোগ, পালা করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না করবেন, এটাই নিয়ম। কিন্তু ছন্দা মাইতি নামে ওই সুপারভাইজার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশ করে শুধু নিজেদের পছন্দের মহিলাদের রান্নার দায়িত্বে নিযুক্ত করেছেন। পক্ষপাতিত্ব করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্যান্য দুঃস্থ মহিলাদের বঞ্চিত করেছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা নূপুর গিরি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এইভাবে চলছে। তাই নয়, ওই সুপারভাইজার অনেক টাকাপয়সা নয়ছয় করেছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের টাকাপয়সা কোনও হিসেব দিতে পারেননি। এসব কারণেই এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। আমরা এর বিহিত চাই। আমাদের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ওই সুপারভাইজার বলেন, সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ। কোথাও কোনও পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। আমার সঙ্গে কেউ কিছু আলোচনা না করে এসব করছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক হরিসাধন দাস বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অনিয়মের সঙ্গে স্কুলের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাঁরা রান্না করেন। সরকার তাঁদের বেতন দেয়, এটাই নিয়ম। কিন্তু আমাদের অন্যায়ভাবে তালাবন্দি করে রাখা হল। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানিয়েছি। তাঁরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।