কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এদিনের মিটিংয়ে দলের ব্লক সভাপতিরা ভোটের আগে লিড দেওয়ার যে তথ্য দিয়েছিলেন, তা কীভাবে উল্টো হল সেই প্রশ্ন ওঠে। দু’-একটি ব্লক বাদে প্রায় সকল ব্লক ও শহর সভাপতি নিজের এলাকা থেকে লিড দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কে কত লিড দিতে পারবেন তার হিসেব নেওয়া হয়েছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সব জায়গায় দল পিছিয়ে পড়েছে। সাতটি বিধানসভাতেই তৃণমূল পিছিয়ে। এটা কীভাবে সম্ভব হল? ফলাফল এমনটা হতে পারে তার আঁচ কেন ব্লক সভাপতি এবং বিধায়করা জানতে পারলেন না, এই প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দেবাংশু বলেন, তমলুক আসনে আমাদের জয় নিশ্চিত ধরে নিয়ে অনেকেই আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন। নির্বাচনে গাছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। কোনও সমস্যার কথা ভোটের আগে কেউ বলেননি। সকলেই লিডের তালিকা ধরিয়েছিলেন। বাস্তবে ঘটল উল্টো। আর সেটা কেউ আগাম বুঝতে পারলেন না। এটা অবশ্যই ব্যর্থতা।(এদিন হারের জেরে পদ ছাড়তে চান বলে জানান ময়নার ব্লক সভাপতি সন্দীপব্রত দাস ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক সভাপতি রাজেশ হাজরা। দল অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে তাঁরা খুশি হবেন বলে ঘোষণা করেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একঝাঁক নেতা দিনে তৃণমূল এবং রাতে বিজেপি করেন। তাঁরাই লোকসভায় দলকে ডুবিয়েছেন। দু’নৌকায় পা দিয়ে চলা এই নেতাদের তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল। ২১ জুলাইয়ের পর সাংগঠনিক রদবদলের সময় ওই নেতাদের গুরুত্বহীন করে দেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ভোটের আগে ইডি, ইনকাম ট্যাক্সের ভয় দেখিয়ে কিছু নেতাকে বিজেপি ‘ম্যানেজ’ করেছিল বলেও দলীয় সূত্রের খবর।