কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
শনিবার সকাল থেকেই কলেজে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা থেকে পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজের সংস্কৃত বিভাগের চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপিকা অঞ্জনা পাত্র সন্তানসম্ভবা ছিলেন। তাঁর প্রসবের তারিখ এগিয়ে আসছে দেখে আজ থেকে মাসখানেক আগেই তিনি কলেজে মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেন। যদিও তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়নি। সপ্তাহ খানেক আগেও তিনি যখন পুনরায় ছুটির জন্য আবেদন করেন তখনও তাঁর ছুটির আবেদন অধ্যক্ষ গ্রাহ্য করেননি বলে অভিযোগ। কলেজের অধ্যাপক (চুক্তিভিত্তিক) শ্যামপদ জানা বলেন, উনি একাধিকবার ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন। যদিও তাঁকে অধ্যাপক ছুটি দেননি। এমনকী প্রসবের দু’সপ্তাহ আগেও তাঁকে দিয়ে পরীক্ষার ডিউটি করিয়েছেন অধ্যক্ষ। বলেছেন, তুমি ডিউটি করতে বাধ্য। রীতিমতো মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। গরমে ডিউটি করে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
কলেজ সূত্রের খবর, গত বুধবার রাতে তিনি একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। কিন্তু প্রসবের পর তাঁর রক্তক্ষরণ কিছুতেই বন্ধ হয় না। বর্তমানে তিনি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। এই খবর কলেজে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন অধ্যাপক থেকে পড়ুয়ারা। অসুস্থতার দায় অধ্যক্ষের উপর চাপিয়ে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কলেজের চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক আকবর আলি সাহা বলেন, উনি রীতিমতো র্যাগিং চালিয়েছেন অধ্যাপিকার উপর। শুধু তাই নয়, উনি আমাদের বহু অধ্যাপকের প্রমোশন আটকে রেখে দিয়েছেন। ছাত্রদের নম্বর দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। অধ্যক্ষর এই মানসিকতার জন্য তাঁকে ধিক্কার জানাই। তাঁর জন্যই আজ অধ্যাপিকাকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে।
যদিও এনিয়ে অধ্যক্ষ অনুপম পড়ুয়া বলেন, ওই অধ্যাপিকা ছুটির আবেদনের জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র জমা করেছিলেন, তা পর্যাপ্ত ছিল না। তবুও পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তাঁকে মৌখিক ছুটি দেওয়া হয়েছিল। ওই অধ্যাপিকা ছুটিতেই ছিলেন। তাছাড়া আমরা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপরেও নজর রাখছি। তাঁর সংযোজন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা কলেজের স্টেট এইডেড কলেজ টিচার (এসএসিটি) বা চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক। সমস্ত কলেজের চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপকরা চারদিন ডিউটি করেন। কিন্তু আমাদের কলেজেই তাঁরা তিনদিন ডিউটি করেন। নিউ এডুকেশন পলিসিতে প্রত্যেক সেমিস্টারেই পড়ার চাপ বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের চারদিন ডিউটি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে তাঁদের টিউশনিতে অসুবিধা হবে বলে কলেজে অতিরিক্ত ক্লাস করাতে তাঁরা নিমরাজি। তাছাড়া আরও অনেক টাকা পয়সার ব্যাপার রয়েছে। আমি তাঁদের অতিরিক্ত ‘সুবিধা’ না করে দেওয়ায় আমাকে সরাতে পরিকল্পিতভাবে বিক্ষোভ করছেন।