কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
২০১৭ সালে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে উপভোক্তার সংখ্যা ৫৯ জন। সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও ওই কেন্দ্রের জন্য কোনও বাড়ি তৈরি হয়নি। খোলা জায়গায় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হয়। আবহাওয়া খারাপ থাকলে রান্নার কাজ বন্ধ থাকে। ওই কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দীপালি করণ বলেন, শিশুদের পড়ানোর জায়গা নেই বলে কেন্দ্রে শিশুদের বসিয়ে পড়ানো হয় না। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। বর্তমানে শুকনো খাবার না থাকার কারণে বেশ কিছুদিন রান্না বন্ধ রয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা বলেন বাপন মল্লিক, মুকন্দার আলি খান, ঝুনু মল্লিক প্রমুখ বলেন, আমরা সবাই তৃণমূলের সমর্থক। আমাদের বুথে ৬১২টি ভোটের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৫৮৭টি ভোট। আমাদের গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রায় দেড় মাস ধরে রান্না হয়নি, রান্নাঘর তো দূরের কথা রান্না করার জায়গার উপর কোনও ছাউনি নেই। খোলা আকাশের নীচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করতে হয়। শিশুদের বসার জায়গা নেই। জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগের অভাবে সরকারি পরিষেবা না পাওয়ার জন্য আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্যার কথা মুফু সরকার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলেছি। কোনও কাজ হয়নি। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ঊর্মিলা বিবি এবং কর্মাধ্যক্ষ কুলসুমা বিবির সঙ্গে শুক্রবার যোগাযোগ করা হয়েছিল। কোনও সদুত্তর না পেয়ে গ্রামবাসীরা অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্রের সমস্যার কথা লিখিতভাবে বিডিও এবং সিডিপিওকে জানান। সেই খবর দলের নেতাদের কাছে আসতেই ওই গ্রামের তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। মুকন্দার বলেন, তার কিছুক্ষণ পরেই গ্রামে পুলিস আসে। প্রতিবাদী একজন তৃণমূল কর্মীকে পুলিস তুলে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার পর থেকেই গ্রামের মানুষ দলের কিছু নেতার উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন। বিষয়টি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোরও উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।