কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বর্ষা আসতেই মাঠের গর্ত ছেড়ে ইঁদুরের দল নদীর পাড়ে আশ্রয় নিচ্ছে। জমির আলু, বাদাম খেতে মাঠের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে এরা বাসা বাঁধে। বর্ষার সময় জমিতে জল জমে যায়। সেই সময় মূষিককুলের আশ্রয়স্থল নদীপাড়ে বাঁধের ছোট ছোট গর্ত। জলের স্রোতে এই গর্তগুলি বড় হয়ে নদীবাঁধকে দুর্বল করে। গর্তগুলি দিয়ে জল জমিতে ঢুকে পড়ে। প্রতি বছরের মতো দ্বারকেশ্বর, মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর, রূপনারায়ণ নদের দুই পাড়ের বাঁধে এবারও ইঁদুররা আশ্রয় নিচ্ছে। স্থানীয় চাষি ও বাসিন্দারা বিষয়টি পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছেন। মহকুমার প্রশাসনিক ভবনে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জরুরি বৈঠক হয়েছে। গর্ত দিয়ে নদীর জল ঢুকলেই তা মেরামত করার জন্য আপৎকালীন টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ইঁদুররা এইসময় নদীর পাড়ে গর্ত করে বাসা বাঁধে। তাতে বাঁধ দুর্বল হয়ে যায়। বাঁধের দুই পাড়ে পার্থেনিয়াম গাছ, ঘাস, আগাছা থাকায় ছোট ছোট গর্তগুলো নজরে আসে না। তবে সেচদপ্তরের কর্মীর নদীপাড়ে পরিদর্শন চালাচ্ছেন। মাটি ও বালির বস্তা মজুত করে রাখা হয়েছে। জেলা সেচদপ্তরের আধিকারিক দেবেন্দ্র সিং বলেন, মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে কয়েকদিন আগে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বাঁধের ভাঙন বা ধস নামলে তৎপরতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে।
পুরশুড়ার চাষি প্রশান্ত মান্না বলেন, আমাদের দামোদর নদের দুই পাড়ের জমিতে ধান, আলু, বাদাম চাষ ভালো হয়। নদ তীরবর্তী জমি থেকে আলু, বাদাম উঠে গেছে।
বর্ষা এলেই ইঁদুরের দল নদীপাড়ের গর্তে আশ্রয় নিচ্ছে। নদীর জলের স্রোতে গর্ত বড় হয়ে যায়। গর্ত দিয়ে জল জমিতে ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়। খানাকুল-১ ব্লকের ঘোষপুর পঞ্চায়েত এলাকার চাষি শেখ সাইফুদ্দিন বলেন, নদীপাড়ের ঘন ঝোপের কারণে গর্তগুলো সহজে চিহ্নিত করা যায় না। একমাত্র জল ঢোকার সময় তা নজরে আসে। এবারও আমরা উদ্বেগে আছি। প্রশাসন আগে থেকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিক।