কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে লোকসভা ভোটে ২০টি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। ভোটে ব্যাপক ভরাডুবির পরে পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলাদের একাংশ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। যোগদানের বিষয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে। এই দলবদল আটকাতে তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার পুরুলিয়া সার্কিটহাউসে তৃণমূল কাউন্সিলারদের বৈঠক ডাকেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে পুরসভার চেয়ারম্যান উপস্থিত না থাকলেও অধিকাংশ কাউন্সিলার এদিন উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে কাউন্সিলাদের একাংশ পুরসভার চেয়ারম্যান সামিম দাদ খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। একাধিক অনিয়ম, বিভিন্ন বিষয়ে কাউন্সিলাদের অন্ধকারে রেখে গুটি কয়েক কাউন্সিলারকে নিয়ে কাজ করার অভিযোগ ছাড়াও একাধিক ওয়ার্ডে দলের একাংশের বিরোধিতার অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে পুরুলিয়া জেলা সভাপতির চারপাশে অনুগামীদের ভিড়ে কাউন্সিলাররা নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন এক কাউন্সিলার।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মলয় ঘটকের বৈঠকের আগে পুরসভার একাধিক কাউন্সিলার বিজেপির দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর তাঁরা তৃণমূলের বৈঠকে আসেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বৈঠক শেষে পুরুলিয়া পুরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিভাসরঞ্জন দাস ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রদীপ ডাগা ‘জয় শ্রীরামে’র পাশাপাশি ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। সার্কিটহাউসের বাইরে বিভাসবাবুর স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর সঙ্গে বচসাও হয় এক তৃণমূল কর্মীর। ১৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের আত্মীয় ওই তৃণমূল কর্মী বিভাসবাবুকে দলবদল করে বিজেপিতে যাওয়ার পর এধরনের কাজ করার পরামর্শ দেন। তাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিভাসবাবু। পরে তৃণমূলের অন্যান্য কাউন্সিলাররা পরিস্থিতি সামাল দেন।
বৈঠকের বিষয়ে প্রদীপ ডাগা বলেন, বিজেপি ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। আমরা এর বিরোধিতা করছি। হারের পর পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। নিজেদের ক্ষোভ বিক্ষোভের বিষয়ে কথা হয়েছে। যেসব কথা অনেকদিন বলতে পারিনি এদিন তা বলতে পেরেছি। এরপর দল কী ব্যবস্থা নেয় দেখা যাক। শুধু তো আমাদের ব্যর্থতা নয়, উপরতলারও কিছু ভুল রয়েছে।
এবিষয়ে বিভাসবাবু বলেন, শহরের মানুষ তৃণমূলের বিপক্ষে রয়েছে। আমাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। বিকল্প পথের খোঁজ চলছে। দলের বাইরে থেকেই বিকল্প পথ খোঁজা হবে।
এবিষয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বৈঠকের বিষয় তো সংবাদমাধ্যমে বলা সম্ভব নয়। কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেবিষয়ে কাউন্সিলাররা মতামত দিয়েছেন। কোনও ক্ষোভ নেই। শান্তিরামবাবু বলেন, বৈঠকে কাউন্সিলাদের দলবদল বা অন্য কোনও সম্ভাবনার বিষয়ে কোনও আঁচ পাওয়া যায়নি।