সংবাদদাতা, মেখলিগঞ্জ: ১৬ কোটি টাকা খরচে চ্যাংরাবান্ধায় ধরলা নদীর উপর দ্বিতীয় সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও তা থমকে গিয়েছে। সময়মতো টাকা না মেলায় সেতুর দু’পাশের সংযোগকারী রাস্তার কাজও বন্ধ। বিল না পাওয়ায় ঠিকাদার সংস্থা কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে নারাজ। ফলে ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলছে না কয়েক হাজার মানুষের। সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা। তবে সেতুর কাজ কেন আটকে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।
কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা পঞ্চায়েতের দেবীকলোনিতে ১৬ কোটি ব্যয়ে দ্বিতীয় ধরলা সেতু তৈরির কাজে হাত দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেতুর কাজ কয়েক মাস ধরে বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকায়। ধরলা নদীর এপারে দেবীকলোনি, অন্যপারে পানিশালা। রাজ্য সরকার পানিশালার দিকে সাবেক ছিটমহলবাসীর বসবাসের জন্য ফ্ল্যাট বানিয়ে দিয়েছে। তাঁদের যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ধরলায় দ্বিতীয় পাকা সেতু তৈরির কাজ শুরু করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর।
কিন্তু সেতুর কাজ প্রায় শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ থমকে। সাবেক ছিটমহলবাসীকে এখন মহকুমা সদর মেখলিগঞ্জ কিংবা চ্যাংরাবান্ধায় যাতায়াত করতে হলে ন’কিমি ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। সাবেক ছিটের বাসিন্দা যুগল রায়, রঞ্জিত রায়, সরস্বতী বর্মন বলেন, ধরলা নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের হক মঞ্জিল হয়ে কয়েক কিমি ঘুরে এখন যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সেতু তৈরির কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজার তপন তরফদার বলেন, অর্থাভাবে সেতুর কাজ থমকে। সময়মতো বকেয়া না মেলায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা রিনা সরকার বলেন, সেতু ও রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকার মানুষের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত যাতে কাজটি শেষ হয়, প্রশাসনের কাছে সেই দাবি জানাব। দ্রুত কাজ শেষ করার দাবিতে বাসিন্দারা ব্লক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন। মেখলিগঞ্জের বিডিও অরিন্দম মণ্ডল বলেন, কাজ কেন আটকে আছে, খোঁজ নিয়ে দেখব। মন্ত্রী উদয়ন গুহ বুধবার বলেন, আমি কলকাতায় আছি। কেন বকেয়া টাকা ঠিকাদার সংস্থা পায়নি তা ফিরে অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। নিজস্ব চিত্র