গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমার চারটি ব্লকের মধ্যে মাটিগাড়া অন্যতম। বালাসন, মহানন্দা, চামটা নদী বেষ্টিত এই ব্লক চা বাগান ঘেরা ছিল। ধান চাষ হতো। কিন্তু এখন ধান চাষ হয় না বললেই চলে। চা বাগানের এলাকাও কমেছে। এখানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, এসজেডিএ’র অফিস, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, দমকল কেন্দ্র, আয়কর অফিস, পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর গড়ে উঠেছে।
একইসঙ্গে শপিংমল, প্রচুর বহুতল, মার্কেট কমপ্লেক্স, হোটেল, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই কিছু উপনগরী গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজও চলছে জোরকদমে। পরিবহণনগরে বাস টার্মিনাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসবের ফলেই মাটিগাড়াকে পুরসভা তৈরির দাবি ফের জোরালো হয়েছে।
মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের মাটিগাড়া-১ সাংগঠনিক ব্লক কমিটির সভাপতি অভিজিৎ পাল বলেন, গত ১২ বছরের মধ্যে এই ব্লকের চেহারা আমূল বদলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এখানে সরকারি ও বেসরকারি বহু অফিস গড়ে উঠেছে। এজন্য অনেক আগেই এই ব্লক নিয়ে পুরসভা করার দাবি তোলা হয়। মহকুমা প্রশাসনিক ভবন তৈরির উদ্যোগ শুরু হতেই সেই দাবি প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। এই দাবি পূরণ হওয়ার পর এখানকার নাগরিক পরিষেবার মান আরও বাড়বে।
সিপিএম ও বিজেপিও পুরসভা গঠনের দাবি তুলেছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তাপস সরকার বলেন, বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই বদলানো শুরু করে মাটিগাড়া। বহুকাল আগেই দলের কৃষক সংগঠনের জেলা অফিস এখান থেকে সরানো হয়। ইতিমধ্যে মাটিগাড়া-১ ও ২, চম্পাসারি, আঠারোখাই, পাথরঘাটা, এই পাঁচটি এবং নকশালবাড়ি ব্লকের আপার ও লোয়ার বাগডোগরা, গোঁসাইপুর এই তিনটি পঞ্চায়েতে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টেছে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির নাগরিক পরিষেবা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। এজন্য বেশ কয়েক বছর আগে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি নিয়ে পুরসভা গঠনের দাবি রাজ্য সরকারের কাছে জানানো হয়। লোকসভা ভোট মেটার পরই আবার সেই দাবিতে আন্দোলনে নামব।
স্থানীয় বিধায়ক বিজেপির আনন্দময় বর্মন বলেন, মাটিগাড়াকে পুরসভা করা বিশেষ জরুরি। বিধানসভায় বহুবার এই দাবি জানিয়েছি। লোকসভা ভোট মেটার পর বিষয়টি নিয়ে রাস্তায় নামব।
এদিকে, শিলিগুড়ি পুরসভার এলাকা বাড়ানোর দাবিও অনেকদিনের। সংশ্লিষ্ট পুরসভার অধীনে মাটিগাড়া ও বাগডোগরাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব।