উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
ইংলিশবাজারের দুর্গাপুজো উৎসবের পরিধিতে পাল্লা দেয় রাজ্যের বা দেশের যেকোনও বড় শহরের সঙ্গে। সাধারণত চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন মানুষ। মহাপঞ্চমী থেকে তো কার্যত রাজপথের দখল নিয়ে নেয় আমজনতা। মহাসপ্তমী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত ইংলিশবাজারের রাস্তায় তিলধারণের জায়গা থাকে না। কিন্তু এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। একে তো করোনা নিয়ে উদ্বেগ ও ভয়, অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা—সব মিলিয়ে এবার বাড়ি বা পাড়া ছেড়ে খুব একটা ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শনের রাস্তায় হাঁটেননি মালদহের নাগরিকরা। বয়স্ক নাগরিকদেরও রাস্তায় দেখা গিয়েছে খুব কম সংখ্যায়। তরুণ প্রজন্মও পুজোয় সতর্ক থেকেছেন। এমনিতে পুজোর চারদিন শহরের রেস্তরাঁগুলিতে থাকে ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। এবার কিন্তু শহরের অনেক রেস্তরাঁই পুজোয় বন্ধ রেখেছিল ব্যবসা। যাঁরা ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরও মুখভার। প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম মানুষ পা রেখেছেন রেস্তরাঁয়। তবে হোম ডেলিভারি করে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে হাতেগোনা কয়েকটি রেস্তরাঁ। পথে বসে যাঁরা পুজোর চারদিন খাবার বিক্রি করেন, কার্যত পথে বসার উপক্রম হয়েছে তাঁদেরও। জিলিপি থেকে পাঁপড়, এগরোল থেকে মোগলাই—সব কিছুরই চাহিদা ছিল কম। জেলা গ্রন্থাগারের সামনেই জিলিপি-খুরমার অস্থায়ী দোকান দিয়েছিলেন নগেন মণ্ডল। আগে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। করোনা পরিস্থিতিতে মালদহে ফিরে আর্থিক অনটনের শিকার। ভেবেছিলেন, পুজোয় মিষ্টি বিক্রি করে খানিকটা পরিস্থিতি সামলাবেন। কিন্তু আশানুরূপ ব্যবসা না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তিনি। অস্থায়ী ফাস্ট ফুডের দোকান করে লাভ হয়নি সুনীল হালদারেরও। তিনি বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে এগরোল, মোগলাইয়ের দোকান করেছিলাম কিছু লাভ করার কথা ভেবে। ছিল চপ, ঘুগনিও। কিন্তু প্রত্যাশার অর্ধেক লাভও হয়নি। একে তো মানুষ রাস্তায় নেমেছেন কম। বাইরের খাবার খেয়েছেন আরও কম মানুষ।
মহাসপ্তমী থেকে মহানবমী দিনের বেলায় রাস্তায় দেখা গিয়েছে কমবয়সীদের। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁদের সংখ্যাও কমেছে। বেঙ্গালুরুতে চাকরি করেন মালদহের যুবক সুস্মিত ঘোষ। পুজোয় বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বলেন, অন্যান্যবার পুজো মানেই পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, প্যান্ডেল আর রেস্টুরেন্টে ঘুরে বেড়ানো। তবে এবার বাড়িতে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আড্ডা দিয়েছি। সঙ্গে ছিল মায়ের হাতের রান্না। স্মার্টফোনে সিনেমা দেখেছি।