উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
পাহাড়ের বিতর্কিত নেতা বিমল গুরুং গোপন ডেরা থেকে বের হওয়ার পরই সরব হন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয়ের অনুগামীরা। তাঁরা যে আর গুরুংয়ের নেতৃত্ব মানবেন না তা বুঝিয়ে দেন। এখন পাহাড়ের মাটিতে নিজেদের শক্তি জানান দিতে তাঁরা মিটিং, মিছিলে জোর দিয়েছেন। অষ্টমীর দিন থেকেই তাঁরা দলীয় ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং পাহাড়ে মিছিল ও পোস্টারিং করছেন। মিছিল থেকে স্লোগান উঠেছে, ‘বিমল গুরুং মুর্দাবাদ’। আজ, বুধবার কালিম্পং টাউনে তাঁরা ফের মিছিল করবেন। এ জন্য মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট এলাকা দলীয় ঝান্ডায় সাজিয়ে তোলা হয়। বিনয় তামাং এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য না করলেও তাঁর অনুগামীরা গুরুংয়ের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে তিনি পাহাড়ের উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। অনীত থাপা সুষ্ঠুভাবে জিটিএ পরিচালনা করছেন। বর্তমানে এখানকার মাটিতে শান্তি বজায় রয়েছে। তাই আন্দোলন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নেতা গুরুংকে মেনে নেওয়া অসম্ভব। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দার্জিলিং মহকুমার সভাপতি তথা বিনয়ের অনুগামী অলোক কান্তামানি থোলং বলেন, পাহাড় এখন শান্ত। বহু চেষ্টা করে পাহাড়ে শান্তি ফেরানো হয়েছে। এখন বিমল গুরুং পাহাড়ে আসতে পারেন। কিন্তু তাঁর দাদাগিরি, গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। এবার পাহাড়ে কোনও গোলমাল হলে তিনি দায়ী থাকবেন। এদিকে, তিনবছর আগে আত্মগোপন করেন গুরুং। সেই সময় থেকেই পাহাড়ে তাঁর অনুগামীরাও ঝিমিয়ে পড়েন। এতদিন তাঁদের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি পাহাড়ে দেখা যায়নি। কয়েকদিন আগে গুরুং প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর অনুগামীরা খোলস ছেড়ে বেরিয়েছেন। গুরুংয়ের পাহাড়ে আসার খবর চাউর হতেই তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। কয়েকদিন আগে কালিম্পং ও মিরিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিমলপন্থী যুব নেতারা বলেছিলেন, দাজুকে (বিমল) স্বাগত জানাই। ইতিমধ্যে পাহাড়ের বিভিন্ন বাঁকে এ ব্যাপারে পোস্টারও পড়েছে। পুজোর মধ্যে তাঁরাও গুরুংকে স্বাগত জানিয়ে দার্জিলিং সহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছেন। মিরিকে বিমলের অনুগামী যুব নেতা তোপডেন ভুটিয়া বলেন, দাজুর (বিমল) সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। তাঁকে পাহাড়ে স্বাগত জানাই।
বিধানসভা ভোটের মুখে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দু’পক্ষের এমন অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, বর্তমানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দু’ভাগে বিভক্ত। এই মুহূর্তে এই দল জোড়া লাগবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। উভয়পক্ষ যেভাবে মিটিং, মিছিলের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে, তাতে যেকোনও সময় পাহাড় তপ্ত হতে পারে। এতে পদ্ম শিবিরের ফায়দা হবে বলে মনে হচ্ছে। এ জন্য জিএনএলএফকে আরও শক্ত করে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। তবে তৃণমূলের সঙ্গে জিএনএলএফের একাংশের যোগাযোগ আছে। তৃণমূল যদি জিএনএলএফকে কাছে টানতে পারে তা হলেই পাশা পাল্টাতে পারে বলেই মনে হচ্ছে।