বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে ছুটির দিনেও জেলা প্রশাসন, পুলিস, পুরসভা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা ম্যারাথন বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় এড়িয়ে জনজীবন সচল রাখার লক্ষ্য নিয়ে আধিকারিকরা ময়দানে নামবেন। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নিতেও যে প্রশাসন পিছপা হবে না তা এদিনের বৈঠকের শেষে আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এব্যাপারে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ইংলিশবাজার শহরে করোনা মোকাবিলার উপায় বের করতে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে নিয়ে এদিন বৈঠক হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে শহরের দোকানপাট খুলে রাখা নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি আমরাও প্রতিদিন ৫০ জনের করোনা পরীক্ষা করাচ্ছি। ফলে শহরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ চালু করা হচ্ছে। সকাল ১০টার মধ্যে সব্জি, মাছ ও মাংসের দোকান গুটিয়ে ফেলতে হবে। বিকেল ৩টের পর শহরের কোনও দোকান খোলা রাখা যাবে না। মডেল মাদ্রাসা সংলগ্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমরা ৫০ বেডের সেফ হোম চালু করব। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গহীন করোনা রোগীদের বাড়িতে রাখা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। পুরসভা তাঁদের সেখানে নিখরচায় রাখবে। আমরা একটি কমিটি গঠন করব। ওই কমিটিতে জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারের প্রতিনিধি থাকবেন। কমিটির সদস্যরা শহরের উপর নজরদারি চালাবেন। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, কিছুদিনের জন্য ফুটপাতে ব্যবসা বন্ধ রাখার জন্য আমরা হকারদের অনুরোধ করছি। বিকেল ৩টের পরও কোনও ব্যবসায়ী দোকান খোলা রাখলে আমরা তার দায় নেব না। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এদিন নতুন করে নয় জন আক্রান্ত হয়েছেন।