বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল যারা করে বা যে সব পরিবার তৃণমূল দলকে সমর্থন করে তাদের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে চাল নেওয়ার কুপন দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সমর্থক পরিবারদের পরিযায়ী শ্রমিকদের কুপন দেওয়া হয়নি। এই কুপন দেখাতে না পারলে রেশন দোকান থেকে চাল দেওয়া হবে না। এই পক্ষপাতমূলক কাজের বিরুদ্ধে এদিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান।
খুট্টিমারির বাসিন্দা সত্যেন রায় বলেন, আমার ভাই সত্য রায় ভিনরাজ্য থেকে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। সরকারি ভাবে চালের জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে যে লিস্ট গিয়েছে সেখানে ভাইয়ের নাম নেই। শুধু আমার পরিবার নয় এরকম বহু পরিবার আছে যারা কুপন পায়নি। শনিবার এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে কথা বলতে গেলেও প্রধান শোনেনি। যাঁরা বিজেপির সমর্থক তাঁদের টোকেন দেওয়া হয়নি। আবার এমনও পরিবার আছে যাদের পরিবারের লোক ভিনরাজ্যে রয়েছে অথচ তাদের বাড়িতে কুপন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু চাল বিতরণ নিয়ে স্বজনপোষণ হয়েছে তাই এদিন আমরা বিক্ষোভে শামিল হয়েছি।
স্থানীয় বিজেপি নেতা কমলেশ সিংহ রায় বলেন, তৃণমূল প্রসঙ্গে কিছু বলতে লজ্জা লাগে। চাল নিয়ে শেষে তারা রাজনীতি শুরু করেছে। এদিন যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা তো গ্রামের সাধারণ মানুষ। তারা পরিযায়ী শ্রমিক, ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছে। অথচ তাদের মুখের অন্ন কেড়ে নিচ্ছে তৃণমূল নেতারা। এনিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।
ঝাড় আলতাগ্রাম ২ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের জীতেন্দ্র নাথ বলেন, বিজেপি সব কিছুতে রাজনীতি নিয়ে আসে। এখানে বুঝতে হবে চাল কারা পায়নি। চলতি মাসের ১৮ তারিখ আমরা একটা তালিকা তৈরি করে বিডিও অফিসে পাঠিয়েছি। ওই তালিকায় ৪৩১ জনের নাম রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই কুপন পেয়েছেন। যাঁদের নাম বাদ গেছে তাঁরা পরে এসেছেন। প্রত্যেক দিন লোক আসছে। বিজেপি এখানে লোকদের ভুল বার্তা দিয়ে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। এতে তাদের কোনও লাভ হবে না। এদিন চাল দেওয়া বন্ধ থাকলেও সোমবার থেকে চাল দেওয়া হবে। ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায় বলেন, তালিকায় যাঁদের নাম নেই তাঁদের জন্য ফের তালিকা তৈরি হবে। এতে চিন্তার কোনও কারণ নেই।