বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ভূপেন্দ্রনগর কলোনি অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকাংশ দিনমজুর। তাঁদের কেউ গাড়ি চালক ও খালাসি, আবার কেউ রাজমিস্ত্রির জোগারে, রং মিস্ত্রি, ইলেকট্রিকের কাজে যুক্ত। এখানকার অধিকাংশ বাড়ি ইটের দেওয়াল ও টিনের চাল দিয়ে তৈরি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত বছর এলাকার ১১টি বসতভিটা গ্রাস করেছে মহানন্দা। ভিটামাটি হারানো ন’টি পরিবার ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। দু’টি পরিবার নদীর মুখে ঝুলে থাকা ভিটাতেই রয়েছেন। এবার নদীর জল স্তর আর কিছুটা বাড়লেই নতুন করে কিছু বসতভিটা ও রাস্তা নদীর গর্ভে চাপা পড়বে। তাঁদের অভিযোগ, গত বর্ষায় নদী কয়েকটি বসতভিটা গ্রাস করলেও সেচ দপ্তর ও প্রশাসনের টনক নড়েনি। ফলে সমগ্র এলাকা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। যে কোনও মুহূর্তে এই বসতি এলাকা গিলতে পারে মহানন্দা। শহরের নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলির মধ্যে ভূপেন্দ্রনগর একটি। এলাকাটি নদীর চরে অর্থাৎ অসংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত। এখানে নদী ভাঙনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে নদীর পাড় বাঁধানোর দাবিও বহুদিনের। তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি জীতেন পাল বলেন, গত বর্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ভূপেন্দ্রনগরে নদী ভাঙন রোধের কাজ করে সেচ দপ্তর। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। নদী ভাঙনের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান করতে এখানে বোল্ডার দিয়ে নদীর পাড় বাঁধানোর প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন লাগু হওয়ায় রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে পারেনি। তবে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন মোকাবিলার কাজ করতে সেচ দপ্তর প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মহানন্দা নদীর জল স্তর বেশ কিছুটা বেড়েছে। ফলে ভূপেন্দ্রনগর কলোনিতে কিছু বাড়ির সীমানা ঘেঁষে বইছে মহানন্দা নদী। সেচ দপ্তর সূত্রের খবর, মহানন্দা নদীর জল স্তর বাড়লেও তা বিপদসীমার নীচে রয়েছে। তবে নদী ও বাঁধের মাঝখানে চরে ভূপেন্দ্রনগর কলোনি অবস্থিত। সেটি রিভারবেড। নদীর জল বাড়লে সেই এলাকা প্লাবিত হওয়া এবং জল নামার সময় ভাঙন দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেচ দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, বর্ষার মধ্যে সেখানে বোল্ডার দিয়ে নদীর পাড় বাঁধানো সম্ভব নয়। বর্ষার পর ওই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা হবে। সেচ দপ্তরের শিলিগুড়ির এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ঠাকুর বলেন, ওই এলাকার উপর নজর রাখা হয়েছে। বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, নদীর জল বাড়লে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তরিত করা হবে। এ জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।