বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
এব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, আমাদের জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। অনেকের মধ্যেই কোনও উপসর্গ নেই। তাঁদের জন্য সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। আমরা রায়গঞ্জ বা ইসলামপুর মহকুমা নিয়ে আলাদা করে নয়, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েই সতর্ক রয়েছি।
এদিকে দিনের পর দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ার কারণে উদ্বেগে রয়েছেন সাধারণ বাসিন্দারা। যদিও তুলনামূলকভাবে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ মহকুমায় করোনার রোগীদের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ কি, সেব্যাপারে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও কারণ জানাতে পারেনি ওয়াকিবহাল মহল। চলছে জল্পনা। ওয়াকিবহাল মহলের একটা অংশের দাবি, রায়গঞ্জ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যান। মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার পর উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ মহকুমার বাসিন্দাদের মধ্যেই ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। বাড়ি ফেরা সেইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই করোনা ভাইরাস বাইরে থেকেই বহন করে নিয়ে এসেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যতজন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। সেই কারণেই এই ধারণা আরও বেশি পোক্ত হচ্ছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার মূলত রায়গঞ্জ এবং ইসলামপুর মহকুমা নিয়ে তৈরি হয়েছে। নয়টি ব্লকের কমবেশি প্রত্যেকটিতেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত মে মাসের নয় তারিখে প্রথম জেলায় একসঙ্গে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁরা প্রত্যেকেই রায়গঞ্জ মহকুমার বাসিন্দা ছিলেন।
এদিকে জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে প্রথম দিকে যে সুস্থতার হার ছিল, তা বর্তমানে খানিকটা হ্রাস পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে জেলায় মোট ২২৭ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পরিসংখ্যানের হিসেবে এই সংখ্যাটা প্রায় ৮১ শতাংশ। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও এই সংখ্যাটা ৯৫ শতাংশের কাছাকাছি ছিল বলে জানা গিয়েছে।