সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চা বাগানটি বন্ধ হয়ে রয়েছে। খোলার ব্যবস্থাই করছে না প্রশাসন। চা বাগানের কোনও পরিচর্যা করা হচ্ছে না। গাছগুলি বড় বড় হয়ে গিয়েছে। এরফলে পাশের জঙ্গল থেকে হাতির দল এসে বসবাস করছে। জঙ্গল এতটাই বড় হয়েছে যে সেখানে হাতি থাকলেও বোঝার উপায় নেই। একারণেই গত শুক্রবার ঘাস কাটতে গিয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আরেকজন জখম হয়েছেন। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, সমস্যার কথা বারবার বলেও কোন লাভ না হওয়ায় এদিন তাঁরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। সকাল থেকে চলা এই অবরোধে রাস্তার দুই দিকেই শিলিগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এমনকী ভুটান থেকে আসা যাওয়ার গাড়িগুলি আটকা পড়ে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন ধূপগুড়ির বিডিও ও বানারহাট থানার পুলিস। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্রশাসনিক আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
রেডব্যাঙ্ক চা বাগানের শ্রমিক গোপাল বাসমালি ও ধনেশ নাথ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চা বাগানটি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকলেও খোলার ব্যবস্থা করছে না প্রশাসন। চা বাগানে কোনও পরিচর্যা করা হচ্ছে না। গাছগুলি বড় বড় হয়ে গিয়েছে। সমস্যার কথা বারবার বলেও কোনও লাভ না হওয়ায় এদিন আমরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দিই। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস পেয়ে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। কিন্তু দাবি পূরণ না হলে ফের আন্দোলনে নামব।
ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, ওই চা বাগানের জঙ্গল আমরা দ্রুত কেটে পরিষ্কার করে দেব। কিন্তু চা বাগান খোলার বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে দেব।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর চা বাগানটি বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এক বছরের মাথায় চা বাগানটি সরকার অধিগ্রহণ করে। কিন্তু বাগানটি চালানো অথবা অন্য কারও হাতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। তাই চা বাগানে পরিচর্যার অভাবে বহু গাছ মরে গিয়েছে। অনান্য চাগাছগুলি বড় বড় হয়ে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। পাশেই ডায়নার জঙ্গল। তাই মাঝেমধ্যেই হাতির দল এসে এখানে ডেরা বাঁধে। জঙ্গল এতোটাই বড় হয়ে গিয়েছে যে ভিতরে হাতি থাকলেও তা বোঝার উপায় নেই।