সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
দার্জিলিং জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই তৃণমূলের একাংশ ক্ষুব্ধ। তাঁকে যুব সংগঠনের পদ থেকে সরানোর দাবিতে অনেকে সরবও হয়েছেন। তাঁরা এই ব্যাপারে দলের বিভিন্ন স্তরেও অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণত ৪৫ বছর বয়সিদের যুব সংগঠনের দায়িত্বে রাখা হয়। ওই বয়সসীমা অতিক্রম করার পর কাউকে আর যুব সংগঠনের রাখা হয় না। নতুনদের ওই পদের দায়িত্ব দেওয়ার নিয়ম। তা হলেই সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধি সম্ভব। সাংগঠনিক কাজেও গতি আসে। কিন্তু জেলায় যুব সভাপতির পদে রয়েছেন ৫০ ঊর্ধ্ব নেতা।
ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, ওই নেতা বর্তমান যুব সমাজের সঙ্গে তেমনভাবে মেলামেশা করতে পারছেন না। তাই জেলায় যুব সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে না। বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আন্দোলন নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সংগঠনকে সেভাবে নিযুক্ত করতে পারেনি। শুধুমাত্র সংগঠনের রাজ্য কমিটির নির্দেশে রুটিন কিছু কর্মসূচি পালন করে দায় সারা হচ্ছে। আবার ওই সব কর্মসূচি করতে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই ওই নেতাকে সরিয়ে অবিলম্বে সংগঠনের জেলা সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা জরুরি।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি বিকাশ সরকার অবশ্য বলেন, আমাদের সংগঠনে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়। এই সংগঠনে নির্দিষ্ট কোনও বয়সসীমা নেই। তাছাড়া সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই ওই পদের দায়িত্বে বসিয়েছেন। তাঁদের নির্দেশমতো সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করে তুলেছি। এনআরসি, সিএএ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত মিছিল, পথসভা চলছে।
শুধু যুব সংগঠন নয়, তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একযুগ ধরে আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন অরূপরতন ঘোষ। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে থাকলেও তাঁকে শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে না। শ্রমদপ্তরের অধীনে থাকা সামাজিক প্রকল্প নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে প্রচার অভিযান চালাতে কিংবা প্রকল্পগুলির আওতায় শ্রমিকদের আনতে তাঁর তৎপরতা দেখা যায় না। এমনকী এনআরসি ও সিএএ নিয়ে শহরে আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। আইএনটিটিইউসি’র সভাপতি অরূপরতনবাবু অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যখন সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন সংগঠনের অবস্থা ছিল খারাপ। এখন শহরে দলের যত মিছিল হয় তাতে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে অসংগঠিত শ্রমিকদের। মিছিলে তাঁদের শামিল করে আইএনটিটিইউসি। ওই শ্রমিকরা না থাকলে মিছিল সফলই হবে না। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।
মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসও নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের জেলা সভানেত্রী সুস্মিতা সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, আমরা নিয়মিত আন্দোলন করছি। পাড়ায় মিছিল, পথসভা করার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। কয়েকদিন আগে একটি কর্মিসভাও করা হয়। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের হাত শক্ত করার উদ্দেশে কিছু লোক অপপ্রচার করছেন। তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।