কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্বে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে এভাবেই দিনের পর দিন কোচবিহার শহরে দলের জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বছরখানেকের মধ্যেই সেই চিত্র বদলে গিয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে দলের ফলাফল প্রতিকূলে যেতেই তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের গ্রামে থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ। অন্যদিকে যুব তৃণমূলের একাংশ পিঠ বাঁচাতে পাশাপাশি বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করতে তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের গাঁ ছাড়া করছেন বলে অভিযোগ। সিতাইয়ের চামটার কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ বিন তুঘলক বলেন, গ্রামগুলিতে ওরা চরম অত্যাচার চালাচ্ছে। বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আতঙ্কে কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। কাদের আতঙ্কে কর্মীরা ঘরছাড়া হলেন? তিনি বলেন, বিজেপি নেতাদের আমরা সরাসরি দোষারোপ করতে চাইছি না। যুব তৃণমূলের একাংশ ফল বেরতেই রাতারাতি শিবির বদল করেছে। তারাই আমাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একটু নিরাপত্তা পেলে আমরা গ্রামে ফিরতে পারি। জহিদুল মিঞাঁ, আমিনুর মিঞাঁ প্রমুখ ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীরা বলেন, ফল ঘোষণার প্রথম পর্বেও ওরা আমাদের সঙ্গেই ছিল। ফলাফল ঘুরে যেতেই দেখি পাশে ওরা নেই। গ্রামে ফিরে ওরাই আমাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর করেছে। ওদের অত্যাচারেই আমাদের ঘরছাড়া অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। বিজেপির স্থানীয় নেতারা সরাসরি আমাদের উপর কোনও হামলা করেনি। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতীম রায় বলেন, আক্রান্তদের পাশে আমরা সবসময় রয়েছি। কোথাও সমস্যা হলে ওরা আমাদের জানাতে পারেন। কোথাও যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেটা দেখা হবে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্বে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ঘরছাড়াদের ভিড়ে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। অনেকে কোলে শিশুকে নিয়েও পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দিনের পর দিন কার্যত লঙরখানার চেহারা নিয়েছিল জেলা পার্টি অফিস। দিনহাটা, মাথাভাঙা, সিতাইতে একের পর এক বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে লুঠপাট চলেছিল। ধানের জমি, বাড়ির কল, গবাদি পশু কোনওটাকেই রেয়াত করেনি দুষ্কৃতীরা। সেই সময় যুব তৃণমূল ও তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির অনুকুলে যেতেই সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। শুধু ঘরছাড়াদের পরিচয় বদলে গিয়েছে। এখন সেই একই সুর তৃণমূলের ঘরছাড়াদের গলায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারও ঘরছাড়ারা সেই যুব তৃণমূলের মাতব্বরদেরই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে বর্তমানে অভিযুক্তদের রাজনৈতিক খোলস কিছুটা বদলে গিয়েছে।