কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে মোর্চার বিমল গুরুংপন্থী অংশের মুখপাত্র বি পি বাজগাইয়ের নেতৃত্বে দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রতিভা রাইকে চিঠি দেন ১৭ জন কাউন্সিলার। দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা আনার জন্যই এই চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠি দেওয়ার পরেই পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলার পাহাড় থেকে উধাও হয়ে যান। এরপর শনিবার তাঁরা সদলবলে দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। অভিযোগ, সেদিন থেকেই পাহাড় ছাড়া দার্জিলিং পুরসভার ওই কাউন্সিলারদের বাড়িতে পুলিসের হানা দেওয়া ও তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপি’র রাজু বিস্তা বলেন, দার্জিলিং পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই পুলিস এই জুলুমবাজি শুরু করছে। দার্জিলিং পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নমন রাই বলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ১৭ জন কাউন্সিলারের বাড়িতে বিনা কারণে তল্লাশি শুরু করে ঝামেলা পাকাচ্ছে। পুলিস আলাদা করে কাউন্সিলারদের বাড়িতে যাচ্ছে। এনিয়ে বিনয় তামাং অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রতিভাদেবী বলেন, এবিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করব না। দার্জিলিং জেলা পুলিসের ডিএসপি রাহুল পাণ্ডে অবশ্য জুলুমবাজির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, যাদের নামে ওয়ারেন্ট আছে একমাত্র তাদের বাড়িতেই পুলিস তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিস বিনা কারণে কারও বাড়িতে তল্লাশি চালায় না।
এদিকে, পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আঞ্চলিক দল হিসাবে পাহাড়ে মোর্চার অস্তিত্ব এবং বিমল গুরুংয়ের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই সংকটে পাহাড় ছাড়া বিমল গুরুং কী করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছেন পাহাড়বাসী।