কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
বুধবার ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আমেরিকা। রিপোর্টটি প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের ওই রিপোর্টে বলা হয়, ভারতে বিদ্বেষমূলক ভাষণ, ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইনের অপব্যবহার, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনাস্থল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এপ্রসঙ্গে ভারত সরকারের তরফেও পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া এল। দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন বিদেশ দপ্তরের প্রকাশ করা রিপোর্টটি আমাদের নজরে এসেছে। অতীতের মতো এবারও এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ একপেশে, ভারতীয় সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে বোধের অভাব, ভোটব্যাঙ্ক চালিত ও পূর্ব নির্ধারিত মানসিকতা থেকে তৈরি করা হয়েছে। তাই এই রিপোর্ট আমরা খারিজ করছি।
রিপোর্ট খারিজ করার পাশাপাশি এদিন আমেরিকার হাতে পাল্টা আয়নাও ধরিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, মানবাধিকার ও বৈচিত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন সংক্রান্ত বিষয়গুলি ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় স্বাভাবিক নিয়মেই ওঠে। সেই আলোচনায় আমেরিকার মাটিতে ভারতীয় ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর বর্ণবিদ্বেষী হামলা, উপাসনাস্থলে ভাঙচুরের মতো ঘটনাগুলিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে নয়াদিল্লি সচেষ্ট হয়েছে। তবে দ্বিপাক্ষিক স্তরের এই আলোচনাগুলিকে ঘরোয়া বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের লাইসেন্স বানিয়ে ফেলা উচিত নয়।