কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এদিন রাষ্ট্রপতি লোকসভা কক্ষে ‘প্রশ্ন ফাঁস’ শব্দ দু’টি উচ্চারণ করামাত্র ‘নিট’, ‘নিট’ বলে চিৎকার করে ওঠে বিরোধীরা। একাজে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপযুক্ত সঙ্গত করেন ডিএমকের দয়ানিধি মারান। চিৎকার করে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ইস্তফা দিতে বলুন।’ যদিও দ্রৌপদী মুর্মু বলে থাকেন, ‘এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে উঠে সমাধানের দিকে এগতে হবে।’ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও অনেক রাজ্যে ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আরও বলেন, ‘আমার সরকার এব্যাপারে কড়া আইন এনেছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান, পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সংস্কারের ব্যাপারেও উদ্যোগী হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস ইস্যুতে তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’ যদিও সেকথায় আশ্বস্ত হতে পারেননি বিরোধী এমপিরা। তাই রাষ্ট্রপতির অভিভাষণ চলাকালীন তাঁরা দফায় দফায় প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
বিরোধী বেঞ্চে সামনের সারিতে পাশাপাশি বসেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস প্রতিষ্ঠাতা এইচ ডি দেবেগৌড়া। অন্য সারিতে রাজ্যসভা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। পিছনে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। রাষ্ট্রপতির ভাষণে একবারের জন্যও মণিপুর, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের ইস্যু না থাকা নিয়েই সরব হন এককাট্টা বিরোধী এমপিরা। সভার মধ্যে তাঁদের আওয়াজ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় একসময় দ্রৌপদী মুর্মুকে বলতেও শোনা যায়, ‘শুনিয়ে শুনিয়ে...।’
কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল থেকে শুরু করে চন্দ্রযান—গত ১০ বছরে সরকার কী কী করেছে, সেই সাফল্যের তালিকা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি। তবে ৫১ মিনিটের বক্তৃতায় একবারও নরেন্দ্র মোদির নাম নেননি। কিন্তু সাধারণ মানুষের জ্বলন্ত ইস্যুগুলির একটিও তিনি উল্লেখ না করায় তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের সৌগত রায়। বলেন, ‘বড্ড ক্লিশে ছিল বক্তৃতা। সরকারের জমুলার কথা তো গত ১০ বছর ধরে শুনে আসছি। এদিনও নতুন কিছু শুনলাম না। বেকারত্ব, বাংলার রেল দুর্ঘটনা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে একটি শব্দও শোনা গেল না। এটা বড়ই দুভার্গ্যজনক।’ একইসুরে সমালোচনা করেছেন খাড়্গেও। আজ, শুক্রবার সংসদে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনা শুরু। কিন্তু তার আগে দেশের পড়ুয়াদের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে চর্চার দাবি চাপ বাড়াবে বিরোধীরা। প্রতিবাদের রেশ জোরদার করতে আজ ‘ইন্ডিয়া’র এমপিরা সংসদের উভয় কক্ষেই (লোকসভা-রাজ্যসভা) ‘মুলতুবি প্রস্তাবে’র নোটিসও দেবেন বলে খবর। সভার যাবতীয় কাজ সরিয়ে রেখে নিটের প্রশ্ন ফাঁস ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হবে।
এদিন বিকেলে এব্যাপারে স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে বসেছিল ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদলগুলি। রাহুল ও খাড়্গের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের ডেরেক এবং কাকলি ঘোষদস্তিদার। আলোচনায় স্থির হয়েছে, আগামী সোমবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে সংসদ চত্বরে। তবে এবারের ইস্যু—সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যহারের অভিযোগ।