কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
গত ১৫ জুন এর্নাকুলাম-হজরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম এক্সপ্রেসে চেপে দিল্লি আসছিলেন বছর ষাটের আলি খান। ওই ট্রেনের এস-সিক্স কোচের ৫৭ নম্বর সিটে লোয়ার বার্থে আধশোয়া অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাঁর উপরে মিডল বার্থে ঘুমোচ্ছিলেন এক যাত্রী। আচমকাই ওই মিডল বার্থ ছিঁড়ে পড়ে। তাতে যে যাত্রী ছিলেন, তিনি সমেত মিডল বার্থটি সোজা এসে লাগে লোয়ার বার্থে থাকা ওই প্রৌঢ়ের ঘাড়ে। মুহূর্তে জ্ঞান হারান তিনি। তড়িঘড়ি অন-বোর্ড রেলকর্মীদের ডেকে নিয়ে আসেন সহযাত্রীরা। মিলেনিয়াম এক্সপ্রেসকে দাঁড় করানো হয় তেলেঙ্গানার রামাগুন্দাম স্টেশনে। সেখানকার কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে কথা বলে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়। ট্রেন থেকে নামিয়ে আলি খানকে ভর্তি করানো হয় রামগুন্দামের একটি স্থানীয় হাসপাতালে। দুর্ঘটনার তিনদিন পর, গত ১৮ জুন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর। এ নিয়ে হইচই শুরু হতেই বিবৃতি দেয় দক্ষিণ রেল।
বিবৃতি দিলেও তাতে বিতর্ক কমেনি। উল্টে যেভাবে ভয়াবহ এই ঘটনার জন্য শুধুমাত্র দুঃখপ্রকাশ করে যাবতীয় দায় যাত্রীদের উপর চাপিয়েছে রেল, তাতে বিতর্ক আরও তুঙ্গে উঠেছে। দক্ষিণ রেল জানিয়েছে, এর্নাকুলাম-হজরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম এক্সপ্রেসের ওই মিডল বার্থে কোনও গোলযোগ ছিল না। আপার বার্থের সঙ্গে মিডল বার্থ ঠিকমতো চেইন দিয়ে বাঁধা হয়নি। সেই কারণেই তা খুলে যায়। এর মধ্যে রেলের তরফে রক্ষণাবেক্ষণের কোনওরকম ঘাটতি নেই। অর্থাৎ, যত দোষ রেলযাত্রীদের। একপ্রকার সাফাই দিতে গিয়ে দক্ষিণ রেল আরও জানিয়েছে, ট্রেনটি দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে এসে পৌঁছনোর পর পুরো ব্যবস্থাই খতিয়ে দেখা হয়। ট্রেন কোচের বার্থগুলির প্রতিটিই ভালো অবস্থায় ছিল।