কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
শহরের পাশাপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত এলাকাতেও এখন বড় বড় বাড়ি এবং ফ্ল্যাট হচ্ছে। গত সোমবারের পুর বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বাড়ি উঠছে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই দমকল ঢোকার জায়গা নেই। যে যেমন খুশি টাকা নিচ্ছে, আর বাড়ি করতে দিচ্ছে। এখন থেকে পঞ্চায়েত এলাকাকেও (বাড়ি তৈরির প্ল্যান পাশ) একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে।’ এরপরই নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত দপ্তর। সূত্রের খবর, বর্তমানে বিল্ডিং প্ল্যানের জন্য অনলাইন ব্যবস্থা থাকলেও, তার অনেক ফাঁক আছে। কারণ, আবেদনের আগে এবং পরে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করানোর ক্ষেত্রে অনেক কাজই হয় ম্যানুয়ালি। নির্ভর করতে হয় কর্মী-আধিকারিকদের উপর। ফলে নিয়মের ফাঁক গলে পঞ্চায়েত এলাকাতেও মাথা তুলছে বেআইনি বাড়ি। এই অনিয়ম বন্ধ করতেই সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অনলাইন পদ্ধতিতে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ ব্যবস্থা চালু করছে রাজ্য। সেই ক্ষেত্রে অনলাইন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার জন্য প্রযোজ্য বিল্ডিং রুলসকেও। বাড়ির প্ল্যানে সামান্যতম নিয়ম বহির্ভূত কিছু থাকলেই আটকে যাবে অনুমোদন। রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে এই কাজটি করেন অফিসাররা। এই পদ্ধতি চালু হলে কেন্দ্রীয়ভাবে গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চলবে। ডানা ছাঁটা যাবে পঞ্চায়েতগুলির।’ তবে এর ফলে একটি বড় সুবিধাও পাবেন আবেদনকারী। বর্তমানে সামান্য ভুল থাকলেই বাতিল হয় আবেদন। নতুন পদ্ধতিতে, ভুল সংশোধনের সুযোগ পাবেন গ্রাম বাংলার মানুষ।
বিল্ডিং প্ল্যানের সঙ্গে আবেদনকারীকে জমা দিতে হয় দমকল, জল, বিদ্যুৎ এবং সামনাসামনি বিমানবন্দর থাকলে কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। ঘুরে ঘুরে এই সব ছাড়পত্র জোগাড় করতে হয় আবেদনকারীকেই। তবে কমন অ্যাপ্লিকেশন পোর্টাল চালুর পর এখান থেকেই পাওয়া যাবে শংসাপত্র। ফলে বিনা সার্টিফিকেটে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সম্ভাবনা থাকছে না। এখন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বা বিল্ডিং সার্ভেয়ারকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আবেদনকারীর। এরপর আর তার প্রয়োজন পড়বে না। কারণ, রাজ্যই আগে থেকে ঠিক করে দেবে ব্লকভিত্তিক লাইসেন্সড বিল্ডিং সার্ভেয়ার (এলবিএস)। আবেদনকারী সেই ব্লকের জন্য লাইসেন্সড এলবিএসের নামের উপর ক্লিক করতে হবে। কিছু দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলবিএস যোগাযোগ করে প্ল্যান তৈরি এবং জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করবেন। সব ঠিক থাকলে মিলবে বাড়ি তৈরির চূড়ান্ত অনুমোদন পত্র। ধার্য ফি জমা দিয়ে তা পোর্টাল থেকেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন আবেদনকারী।