অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এক্সিট পোলও হয়ে উঠেছে চরম নার্ভের লড়াই। নেপথ্যে ব্যতিক্রমী কয়েকটি সমীক্ষা। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস এবং সিএনএক্স-রিপাবলিক টিভি বলেছে ফলাফল হবে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি। এই দুই সংস্থাই বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছে সরকার গড়ার দৌড়ে। তাদের সমীক্ষাতেও অবশ্য তৃণমূল নিঃশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের কাছে।
বাংলার পাশাপাশি সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল হতে চলেছে কেরলে। এক্সিট পোলে বলা হচ্ছে, কেরলে আবার ক্ষমতায় ফিরবেন সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। অর্থাৎ এই প্রথম কেরলে একটি দল পরপর দু’বার ক্ষমতায় আসতে পারে। তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার রেখে যাওয়া দলের কাছে বিপর্যয়ের সঙ্কেত। বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসীন হতে পারে ডিএমকে জোট। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হবেন করুণানিধি পুত্র স্ট্যালিন। অসমে প্রায় সিংহভাগ এক্সিট পোল অনুযায়ী, বিজেপি আবার সরকার গড়তে চলেছে। যদিও কয়েকটি এক্সিট পোলের রিপোর্ট—অসম হতে চলেছে ত্রিশঙ্কু। পুদুচেরিতেও ত্রিশঙ্কুর আভাস। সামান্য এগিয়ে বিজেপির জোট। এক্সিট পোল সঠিক হলে একক দলগতভাবে বিজেপির কাছে পাটিগণিতের হিসেব দাঁড়াবে পাঁচের মধ্যে প্রাপ্তি এক। শুধু অসম।
সিংহভাগ এক্সিট পোল কী বলছে বাংলা নিয়ে? সরকার গড়বেন মমতাই। কিন্তু বিজেপির আসন বিপুল বৃদ্ধি পাবে। যা সত্যিই বিরাট সাফল্য গেরুয়া শিবিরের। কেন সাফল্য? কারণ ২০১৬ সালে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র তিনটি আসন। সেখান থেকে এবার যদি ১০০ আসন পেরিয়ে যায়, সেটা অবশ্যই বড়সড় অগ্রগতি। এক্সিট পোল অনুযায়ী, সর্বাধিক ধাক্কা খাচ্ছে সিপিএম। বস্তুত কোনও এক্সিট পোলেই সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চাকে ২৫ আসনের বেশি দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ প্রধান বিরোধী দল তো দূরের কথা, এক্সিট পোল অনুযায়ী সিপিএম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দুর্বলতম তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হতে চলেছে।