পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিধানসভা সূত্রের খবর, এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে অধিবেশন আপাতত শিকেয় উঠেছে। তা সত্ত্বেও অধ্যক্ষের নির্দেশেই এদিন সেই ব্যবস্থা ছিল। আমন্ত্রণও গিয়েছিল সব পক্ষের পরিষদীয় নেতৃত্বের কাছে। কিন্তু এদিন একমাত্র অধ্যক্ষ ছাড়া আর কেউ উপস্থিত হননি অনুষ্ঠানে। জনা তিনেক তৃণমূল বিধায়ক সে সময় সদনে উপস্থিত হলেও তাঁরা কেউ যাননি অনুষ্ঠানস্থলে।
বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে এই অনুষ্ঠানে হাজির না থাকার আগাম বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে। কংগ্রেস পরিষদীয় তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এদিন অনুষ্ঠানের বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁর অফিসে আসেন। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অবশ্য সদনে আসেননি। তবে তাঁরা দু’জনেই বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাগের ঘৃণ্য নীতি বাস্তবায়িত করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। স্বাধীনতা সংগ্রামেও তাঁর কোনও অবদানের কথা কেউ শোনেনি। এমন মানুষকে মন থেকে শ্রদ্ধা জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। শাসক দল তৃণমূলের তরফে কেউ কিছু সরকারিভাবে না বললেও তাদের দলও একই মনোভাব পোষণ করে। তাই তাদের অনুপস্থিতির কারণও একই বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি প্রতিনিধিরা আসবেন ধরে নিয়ে এদিন সকালেও তাঁদের পরিষদীয় ঘর ঝাড়পোঁছ করা হয় যত্ন করে। শেষ পর্যন্ত তাঁরাও কেউ না-আসায় অধ্যক্ষ বেশ হতাশ হন। তিনি একাই মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজের ঘরে ফিরে যান।
গরহাজির নিয়ে বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা বলেন, আমরা যাঁরা উত্তরবঙ্গে থাকি তাঁদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তবে আমি তৃণমূল থেকে আমাদের দলে আসা বিধায়ক দুলাল বরকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি কেন যেতে পারলেন না, তা খোঁজ করে দেখতে হবে। দুলালবাবু অবশ্য বলেন, আমায় এদিন যখন এই বার্তা দেওয়া হয় তখন বিধানসভায় পৌঁছানোর সময় ছিল না। তাছাড়া আমি এদিন বহু শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। তাই নতুন করে শ্রদ্ধা জানানোর কিছু ছিল না। প্রসঙ্গত, আগামীকাল, বুধবার জ্যোতি বসুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের বন্দোবস্ত করেছেন অধ্যক্ষ। সেদিন কোন দলের প্রতিনিধিরা আসেন, এখন সেটাই দেখার!