পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
লকডাউনের কারণে কিছু জেলায় গত আর্থিক বছরের বাড়ি পিছু শৌচাগার নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা এখনও পূরণ হয়নি। কারণ, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার মতো কিছু জেলায় ২০১২ সালের সমীক্ষায় বাড়িতে শৌচাগার না থাকা বেশ কয়েকটি পরিবার বাদ পড়ে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে যৌথ পরিবার আলাদা হয়ে যাওয়ায় শৌচাগার তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা গিয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তারপরেই শুরু হবে পরিচ্ছন্ন গ্রাম প্রকল্পের কাজ।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যের ৪১ হাজার ১৬১ টি গ্রামে সমীক্ষা চালানো হবে। প্রতি বাড়িতে শৌচাগার বা এলাকায় সুলভ শৌচালয় আছে কি না, জমা জল সরানোর ব্যবস্থা, প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী পাঁচ বছর ধরে এই কাজ করবে পঞ্চায়েত দপ্তর। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকার ৫০ শতাংশ এই প্রকল্পে খরচ করা হবে। যদিও নতুন অর্থবর্ষ শুরুর পর এখনও সেই টাকার একটি অংশও আসেনি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও বাড়িতে শৌচাগার না থাকলে তা তৈরি, জমা জল নিকাশির জন্য পাইপ বসানো ইত্যাদি ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার। অর্থাৎ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে গ্রামকে।
১০০ দিনের কাজের মধ্যে এগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এমজিএনআরইজিএ আইন সংশোধন করা হয়েছে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরকে অবিলম্বে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা অনুমোদনের জন্য নবান্নের কাছে পাঠিয়েছে দপ্তর। অনুমোদন মিললেই শুরু হয়ে যাবে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম’ প্রকল্পের কাজ। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে আমরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। নদীয়া জেলা পুরস্কৃত হয়েছে। এখন আমরা পরিচ্ছন্ন গ্রাম কর্মসূচি নিচ্ছি। এর জন্য পরিদর্শক নিয়োগ হবে। তাঁরাই গ্রামের পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’