নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের প্রবেশের অধিকার বন্ধ হয়েছে পিএফ অফিসে। বন্ধ ‘পিআরও’ বা জনসংযোগ বিভাগ, যেখানে প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক পিএফ গ্রাহক তাঁদের নানা সমস্যা নিয়ে আসেন। পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগও নিয়ে আসেন অনেকে। এক মাসের উপর দেশজুড়ে আনলক পর্ব শুরু হলেও, কলকাতা আঞ্চলিক অফিসের পিআরও বিভাগের দরজা খোলেনি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস। কিন্তু সেই তথ্য জানা নেই বেশিরভাগ পিএফ গ্রাহকেরই। ফলে সল্টলেকে অফিসের দরজা পর্যন্ত এসে ফিরে যেতে হচ্ছে প্রায় সবাইকেই। তাতে ক্ষোভ জমছে গ্রাহকদের মধ্যে। তাঁরা অফিসে এসে জানতে পারছেন, আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে পরিষেবা। সেই সংক্রান্ত নোটিস টাঙানো হয়েছে অফিসের মূল দরজায়। অবশ্য তারপরও পিআরও বিভাগ খোলা হবে কি না, সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছে। আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও অফিসারের কাছেও পৌঁছতে পারছেন না গ্রাহকরা। সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে যাবতীয় আবেদন, অভিযোগ বা বক্তব্য জানানো যাবে। যদি কোনও ব্যক্তি কোনও দরখাস্ত জমা দিতে চান, তাহলে দরজার পাশের ড্রপবক্সে তা ফেলতে হবে। তবে ড্রপ বক্সের উপর ভরসা করতে পারছেন না অনেকেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোথায় কীভাবে অভিযোগ বা আবেদন জানানে যায়, তা জানা নেই অনেকেরই। ফলে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে অশান্তি বা বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। পিএফ গ্রাহকদের বক্তব্য, অনেকেই বহু দূর থেকে কষ্ট করে এসেছেন অত্যন্ত জরুরি কাজে। কারও খুবই টাকার দরকার। তাই তুলে নিতে চান পিএফের টাকা। কিন্তু এখানে সেই সংক্রান্ত পরিষেবা না পাওয়ায় রীতিমতো বিরক্ত অনেকেই। কী বলছে দপ্তর? এখানকার কর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই ওই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, যাতে করোনা সংক্রমণ রোখা যায়। এখানকার আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার (আরপিএফসি ওয়ান) নবেন্দু রাই বলেন, ওই দপ্তরের যিনি প্রধান, তাঁর নিজেরও করোনা পজিটিভ এসেছে। তাই সকলকে সুরক্ষিত রাখাও আমাদের দায়িত্ব। তাছাড়া সব পরিষেবাই অনলাইনে পাবেন গ্রাহক।