পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সোমবার কোলাঘাট ব্লকেই ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়েছেন ১৬ জন। তাঁদের মধ্যে কোলা-২গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, সিদ্ধা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহ শাসক দলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে আটজন টাকা ফিরিয়েছেন। ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শোভা সাউয়ের পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছিল। সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন শোভাদেবী। তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল করও পরিবারের লোকজনের নামে আসা টাকা ফিরিয়েছেন। মহিষাদল থেকে পটাশপুর, ভগবানপুর সর্বত্র টাকা ফেরানোর ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সমস্ত ব্লক ও পুরসভায় ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা টাঙানো হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে ছবি তলব করেছে নবান্ন। জেলাশাসক বিডিওদের কাছে তড়িঘড়ি লিস্ট টাঙানোর ছবি তুলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের পরিচয় সম্পর্কে যাতে কোনও ধোঁয়াশা না থাকে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে। অর্থাৎ নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর তালিকায় থাকা বাধ্যতামূলক। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও ক্ষতিপূরণ না পাওয়া ১৫হাজার জনের তালিকা জেলাশাসকের অফিসে আসার পর সেসব খতিয়ে দেখার কাজ শেষ। ক্ষতিগ্রস্ত সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ না পাওয়া যেসব ব্যক্তির নাম ওই তালিকায় রয়েছে, তাঁদের নবান্ন থেকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতে পারে বলে এদিন জেলাশাসক জানান। সাইক্লোনে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও অনেকেই ক্ষতিপূরণ পাননি। এনিয়ে জেলার নানাপ্রান্তে ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়াতেই প্রশাসন এবং শাসক দল অস্বস্তিতে পড়ে। ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের কাছে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। পার্টি নেতৃত্ব ‘ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্ত’দের উপর চাপ বাড়াতেই নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লকে শাসক দলের অনেক নেতা-কর্মী টাকা ফিরিয়েছেন। মহিষাদল ব্লকেও তাঁদের অনেকেই টাকা ফেরত দিতে লাইন দিয়েছেন।